বিইউবিটিতে ক্যারিয়ার ফেয়ার অনুষ্ঠিত
Published: 17th, April 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের চাকরি ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) দিনব্যাপী ক্যারিয়ার ফেয়ার-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার গাইডেন্স, কাউন্সেলিং ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের আয়োজনে এবং বিডিজবসের সার্বিক সহযোগিতায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের খ্যাতনামা প্রায় ৪৫টি কোম্পানি এ ক্যারিয়ার ফেয়ারে অংশ নেয়। চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থী ও গ্র্যাজুয়েটদের সরব উপস্থিতিতে মেলা প্রাঙ্গণ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা সরাসরি নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পায় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাস্তবধর্মী ধারণা অর্জন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটির উপাচার্য প্রফেসর ড.
উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম শওকত আলী বলেন, শুধু শিক্ষার চেয়ে দক্ষতা এবং শুধু সার্টিফিকেটের চেয়ে জ্ঞানের মূল্য অনেক বেশি। এখন আর শুধু গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির ওপর নির্ভরশীল থাকলে চলবে না, সবাইকে দক্ষ হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিডিজবস লিমিটেডের পরিচালক প্রকাশ রায় চৌধুরী বলেন, নিজেদের দক্ষ করে তুলতে হবে। বাস্তবে কোম্পানিগুলো কী চায়, সেটি বোঝা খুবই জরুরি। এ ধরনের আয়োজন সেসব বিষয় বুঝতে সহায়তা করে। মাতৃভাষা ও ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় একটি ভাষা জানা আজকের যুগে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্রিয়েটিভ আইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. মনির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা এখন প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বসবাস করছি, যেখানে পুরো বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। তাই আমাদের নিজেদের আন্তর্জাতিক মানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিইউবিটির ব্যবসা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং ক্যারিয়ার ফেয়ার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাসুদ হোসেন।
স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই ফেয়ার শুধু চাকরির সুযোগ নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের নিজেদের দক্ষতা উপস্থাপন এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের এক অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম। এটি বিইউবিটির আয়োজিত পঞ্চম ক্যারিয়ার ফেয়ার এবং আমরা প্রতি বছর নিয়মিতভাবে এ ধরনের আয়োজন করার চেষ্টা করব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যারিয়ার গাইডেন্স, কাউন্সেলিং এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের ডেপুটি ডিরেক্টর ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মেসবাহুল হাসান, বিইউবিটির রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলী আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।
সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টের সম্মানিত সদস্য এএফএম সরওয়ার কামাল। তিনি বলেন, ক্যারিয়ার ফেয়ার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিইউবিটি সবসময় এমন উদ্যোগের পাশে থাকবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ কর উপস থ ত ছ ল ন ব ইউব ট র অন ষ ঠ র আয় জ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের বিমা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ বিটিএমএর
গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার বিমা দাবি নিষ্পত্তি করে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ। তাদের অভিযোগ, বিমা কোম্পানিগুলো নানা ধরনের পদ্ধতিগত জটিলতা ও পলিসির শর্তের অপব্যাখ্যা করে বিমা দাবি পরিশোধে বিলম্ব করছে। অনেক ক্ষেত্রে দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা–সংক্রান্ত ক্ষতির অজুহাতে বিমা দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, যা বিমাশিল্পের মূলনীতির পরিপন্থী।
আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে দেওয়া এক চিঠিতে বিমা দাবি পরিশোধের অনুরোধ জানান বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক সদস্যের কারখানা, গুদাম ও অন্যান্য স্থাপনা ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। আকস্মিক এই সহিংসতায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, সব ধরনের অপ্রত্যাশিত ক্ষতি মোকাবিলায় প্রায় প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানই যথাযথ প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে বিমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অগ্নিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির বিপরীতে বিমা পলিসি নিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ঘটনার পর বছর পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ বিমা দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
চিঠিতে বিটিএমএ সভাপতি জানান, গত ৩ মার্চ সাধারণ বীমা করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার উত্থাপিত বিমা দাবি নিয়ে সভা হয়। এতে বিমা দাবি নিয়ে বিভিন্ন বিমাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির বিবরণ ও ব্যাখ্যা দেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঘটনাগুলো গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হওয়ায় তা স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্ক (আইএআর) পলিসির আওতায় কোনো বিমা দাবি পরিশোধযোগ্য হবে না। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার মালিকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে সব নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে গত বছরের জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিমা দাবি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, বিমা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির বিধানটির কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার।