Prothomalo:
2025-12-11@09:29:16 GMT

শওকত মাহমুদ ৫ দিনের রিমান্ডে

Published: 11th, December 2025 GMT

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রাজধানীর রমনা থানার এই মামলায় পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খন্দকার আন্না আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারুন অর রশিদ বলেন, গত সোমবার শওকত মাহমুদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সেদিন মূল নথি না থাকায় শওকত মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে রিমান্ড আবেদনের শুনানি জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। রিমান্ড শুনানির জন্য আজ তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। আসামিপক্ষ রিমান্ড আবেদন নাকচ চায়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আরও পড়ুনমার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে করা মামলায় গ্রেপ্তার শওকত মাহমুদ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) রমনা বিভাগের পরিদর্শক মো.

আখতার মোর্শেদ। তাঁর আবেদনে বলা হয়, শওকত মাহমুদ আরেক আসামি এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের লোকজন ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপনে পরামর্শ করেছেন। বিভিন্ন স্থানে গণবিক্ষোভের মাধ্যমে সরকারের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করেছেন। সরকার উচ্ছেদের প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এতে এই মামলার ঘটনার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁকে ১০ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

গত রোববার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির ডিবি।

আরও পড়ুনমার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে করা মামলায় কারাগারে শওকত মাহমুদ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমকে (৫৫) সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। একই মামলায় শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শওকত মাহমুদ দীর্ঘসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৩ সালের মার্চে বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

গত এপ্রিলে জনতা পার্টি বাংলাদেশ নামের একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়। দলটির চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, আর মহাসচিব শওকত মাহমুদ।

আরও পড়ুনসেই এনায়েত করিমকে বিমানবন্দরে আনতে যান পুলিশ কর্মকর্তা, পাঁচ তারকা হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে করা মামলায় কারাগারে শওকত মাহমুদ

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত এ আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাত আলী এ কথা জানিয়েছেন।

এসআই জিন্নাত আলী বলেন, সাংবাদিক শওকতকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগের পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ। মামলার মূল নথি না থাকায় তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তারিখ ঠিক করেন।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, আসামি শওকত মাহমুদ আসামি এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এবং উচ্চপদস্থ লোকজন ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপনে পরামর্শ করেছেন। বিভিন্ন স্থানে গণবিক্ষোভের মাধ্যমে সরকারের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে সরকার উচ্ছেদের প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন মর্মে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ মামলার ঘটনার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁকে ১০ দিন নিজ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাহিনীটির ভাষ্য অনুযায়ী, সেদিন রাজধানীর মিন্টো রোড এলাকায় একটি প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। পুলিশ গাড়ি থামিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ওই এলাকায় অবস্থানের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

আরও পড়ুনমার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে করা মামলায় গ্রেপ্তার শওকত মাহমুদ২০ ঘণ্টা আগে

এরপর এনায়েত করিমকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। সেই মামলার সূত্র ধরেই শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাংবাদিক শওকত মাহমুদ দীর্ঘ সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

গত এপ্রিলে জনতা পার্টি বাংলাদেশ নামের একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়। দলটির চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন আর মহাসচিব শওকত মাহমুদ।

আরও পড়ুনসেই এনায়েত করিমকে বিমানবন্দরে আনতে যান পুলিশ কর্মকর্তা, পাঁচ তারকা হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে করা মামলায় কারাগারে শওকত মাহমুদ