একাদশের শিক্ষার্থীরা পাবে ৫০০০ টাকা ভর্তি সহায়তা, আবেদনের সময় আরও ৭ দিন
Published: 18th, April 2025 GMT
অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ টাকা পেতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। অনলাইনে গত ৫ মার্চ আবেদন শুরু হয়েছিল। এ সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২৪ এপ্রিল ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে ভর্তি সহায়তা পেতে আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তি সহায়তা দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ভর্তি সহায়তা নির্দেশিকা’ অনুসারে শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তিতে আর্থিক সহায়তা পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা দিয়ে থাকে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তি সহায়তা দেওয় হয়।
কারা আবেদনের যোগ্য—সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর সন্তান আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন। অন্য ক্ষেত্রে মা–বাবা বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকার কম হতে হবে।
ই-ভর্তি সহায়তা ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্য সিস্টেম ব্যবহার করে আবেদন করা যাবে।
ভর্তি সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের ছবি, জন্ম নিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের সুপারিশ প্রয়োজন হবে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মা–বাবা বা অভিভাবকদের কর্মরত প্রতিষ্ঠানের প্রধানের প্রত্যয়ন বা সুপারিশ প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে সরকার, আবেদন শুরু১৫ এপ্রিল ২০২৫এদিকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫,০০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮,০০০ টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০,০০০ টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করছে।
*আবেদনের বিস্তারিত ও আবেদনের পদ্ধতি দেখুন এখানে
আরও পড়ুনএসএসসি–২০২৫ পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তের করণীয়০৬ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর
বেসরকারি খাতের পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এই একীভূতকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।’
আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ব্যাংককর্মীদের আশ্বস্ত করেন, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।
গভর্নর বলেন, কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
এ সময় পাচার করা সম্পদ উদ্ধার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।’
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে, আদালত কিংবা এডিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।
গভর্নর আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।