আন্দোলনরত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এ কারণে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী আজ শুক্রবার দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে গণমিছিল করবেন আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকের পর বিকেলে দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে বসেছিলাম; কিন্তু মন্ত্রণালয়ের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব। 

এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের কারিগরি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিন। 

আন্দোলনের নেতা জুবায়ের পাটোয়ারী সমকালকে বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ, কথাবার্তা কিছুই হয়নি। সচিবরাও ছিলেন না। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

তফসিল‌কে স্বাগত, উৎসবমুখর নির্বাচন প্রত্যাশা ইসলামী আন্দোলনের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা‌কে স্বাগত জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দল‌টি প্রত‌্যাশা ক‌রে, নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বৃহস্প‌তিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দ‌লের পক্ষ থে‌কে প্রতিক্রিয়া জা‌নি‌য়ে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা ব‌লেন।

আরো পড়ুন:

অসত্য তথ্য ছড়ানোও শাস্তিযোগ্য অপরাধ: সিইসি

তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

তি‌নি বলেন, “জনগণের প্রত্যাশামাফিক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের যে তফসিল ঘোষিত হয়েছে তাকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে স্বাগত জানায়।”

আতাউর রহমান বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার আটটি দলের দাবিকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের যে চ্যালেঞ্জ তারা নিয়েছেন সেই চ্যালেঞ্জে তারা সফল হন; সেই প্রত্যাশা করি। সেজন্য আমরা সহায়তা করব ইনশাআল্লাহ।”

গাজী আতাউর রহমান বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম সরকার ও নির্বাচন কমিশন আন্দোলনরত আট দলের দাবি মেনে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করবে এবং জাতীয় ভোটের আগে গণভোট আয়োজন করবে। আমাদেন সেই দাবি উপেক্ষিত হলো। তথাপিও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা একে স্বাগত জানাচ্ছি।”

“মাঠ প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে।মাঠ প্রশাসনের বিন্যাসে এবং কার্যক্রমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। কোন দলের প্রতি কোন ধরনের আনুকূল্যে দেখানোর সুযোগ নাই।”

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে ব‌লেও জরু‌রি ম‌নে ক‌রেন তি‌নি।

দল‌টির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আট দলের সাথে আন্দোলনরত আছে। আমরা আমাদের দলীয় পরিসরে এবং আট দলের ভেতরে আলোচনা করে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাব। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা এই তফসিলকে স্বাগত জানাচ্ছি।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তফসিল‌কে স্বাগত, উৎসবমুখর নির্বাচন প্রত্যাশা ইসলামী আন্দোলনের
  • গবিতে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীকে মারধর, থানায় অভিযোগ