চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে পড়ে জাহাজের এক নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন। একটি জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে ওঠার সময় তিনি পা পিছলে নদীতে পড়ে যান। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে বিএফডিসির ১ নম্বর জেটিতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ ওই নাবিকের নাম দুলাল মিয়া (৫০)। তিনি নোয়াখালী জেলার চরজব্বারের আবদুর রবের ছেলে। তিনি এফভি পারটেক্স-১ নামে একটি মাছ ধরার জাহাজে কর্মরত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নৌ পুলিশ জানায়, রাতে নিজের এফভি পারটেক্স-১ নামে জাহাজ থেকে পাশে নোঙর করা একটি জাহাজে উঠছিলেন দুলাল মিয়া। এ সময় পা পিছলে তিনি দুই জাহাজের মধ্যবর্তী স্থানে নদীতে পড়ে যান। এরপর সাঁতরে ওপরে ওঠার চেষ্টা করলেও একপর্যায়ে তিনি নদীতে তলিয়ে গেছেন। তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। আশপাশের জাহাজের ডুবুরিরা তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালান। পরে সদরঘাট নৌ থানা-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ডের সদস্যরাও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

একরাম উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আজ রোববার বেলা তিনটা পর্যন্ত নিখোঁজ দুলাল মিয়ার সন্ধান মেলেনি। তাঁকে উদ্ধারে তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে বেঁধে মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাট

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে বেঁধে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোন লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ছয়টি দোকান ভাঙচুর ও মালামাল লুট করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ অনইলবুনিয়া গ্রামের বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান হারুন অর রশিদ (৬৫) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ৯৯৯–এ ফোন করা হলেও এক কিলোমিটার দূরের কাঁঠালিয়া থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে আড়াই ঘণ্টা পরে।

হারুন অর রশিদ বলেন, ২০০৭ সালে বটতলা বাজারে ছয় শতাংশ জমি কিনে ছয়টি টিনের দোকানঘর তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন তিনি ও তাঁর দুই ছেলে। এর পেছনেই বসতঘর তৈরি করে তাঁরা বসবাস করছেন।

হারুন অর রশিদের ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, ভোরে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র হাতে বাড়িতে প্রবেশ করে অন্তত ১৫ জন দুর্বৃত্ত। প্রথমেই তারা পরিবারের সব সদস্যকে মারধর করে হাত–পা বেঁধে ফেলে। পরে ঘরের মধ্যে থাকা ৫টি মুঠোফোন ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় বাইরে অবস্থান করা ৫০ জনের একটি দল তাঁদের ছয়টি দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে মালামাল, টিন ও কাঠ ট্রাক ভরে নিয়ে গেছে। ছয়টি দোকানের মধ্যে ছিল মুদির দোকান, চায়ের দোকান, কসমেটিকসের দোকান ও মুরগির দোকান। ঘটনার সময় ভোরের আলো ফোটেনি, কেবল ফজরের আজান হচ্ছিল। দুর্বৃত্তরা তাঁর ছোট দুই বোনকে ব্যাপক মারধর করেছে।

মেহেদী হাসান বলেন, সম্প্রতি ফয়সাল আহম্মেদ নামের একজনের কাছ থেকে বটতলা বাজারে ছয় শতাংশ জমি কেনেন নাসির খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী। গত ২২ এপ্রিল জমির দলিল করেই তাঁদের জমিকে নিজের কেনা সম্পত্তি দাবি করে উচ্ছেদের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন নাসির খান। তাঁর ভাড়া করা লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির খানের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মং চেনলা বলেন, ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, জনবল কম থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে দেরি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ