নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে লামিয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ সড়কে ফেলে পালানোর সময় এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়েছেন স্বামী ও শাশুড়ি। রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত মো.

সালাউদ্দিন জানান, মারা যাওয়া লামিয়ার স্বামী শাওন অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। গৃহবধূ লামিয়া তাকে বাধা দিলে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে লামিয়াকে মারধর করেন শাওন।

আরো পড়ুন:

কটিয়াদী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

মামা-মামি ও বোনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন লামিয়া। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক লামিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি আরো জানান, মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে সড়কে লাশ ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন শাওন ও তার মা ফাতেমা। এলাকাবাসী টের পেয়ে তাদের আটক করেন। পরে তারা আটককৃতদের পুলিশের হাতে তুলে দেন।

ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর শ্বশুর তারা মিয়া পলাতক। মারা যাওয়া লামিয়ার বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন।

ঢাকা/অনিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র অভ য গ গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

মানব পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দিল বিজিবি, আটক ২

কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রপথে মানব পাচারকালে দুইজনকে আটক করেছে বিজিবি। এসময় সাত ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটেলিয়ানের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।

আরো পড়ুন:

পাঁচ মাস পর ভারতে ফিরে গেলেন সোনালি

গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

এর আগে, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন মুন্ডার ডেইল ঘাট এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি।

আটকরা হলেন- কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আলম (১৯) ও টেকনাফের পুরাতন পুরান পল্লান পাড়ার আবু তাহেরের ছেলে ইসমাঈল (২৮)।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার রাতে বিজিবির একটি দল মেরিন ড্রাইভের কাটাবুনিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় সন্দেহজনক একটি ট্রলার ঘিরে ফেললে পাচারকারীরা পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া করে শিশু পার্কসংলগ্ন স্থানে ট্রলারটি আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ছয় পুরুষ ও এক নারীসহ সাতজনকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, অভিযানের সময় ট্রলারে থাকা এক যুবককে এবং পরে টেকনাফ পৌরসভা এলাকার পুরানপল্লানপাড়া থেকে মানবপাচারকারী চক্রের আরেক সদস্যকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, অল্প টাকায় বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি, উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে পাচারকারী চক্র। আটক দুই পাচারকারী ও উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এ কর্মকর্তা।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ