মুঠোফোন চুরির অভিযোগ তুলে এক কিশোরকে গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। ভিডিওর ক্যাপশনে ঘটনাস্থল চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট পুকুরপাড় এবং মুঠোফোন চুরির কথা উল্লেখ করা রয়েছে। তবে মারধরের ঘটনাটি কখন ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শনিবার রাতে এ রকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

ভিডিওতে দেখা যায়- মারধরকারী যুবকটির পরনে ছিল ছাই রঙের টি–শার্ট। কলার মোটা একটা কান্দি দিয়ে তিনি অনবরত পিটিয়ে যাচ্ছিলেন কিশোরটিকে। এ ঘটনা অনেকে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। কেউবা ভিডিও করছিলেন। তবে এক ব্যক্তি হাত দিয়ে মারধরকারী যুবকটিকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু যুবকটি অনবরত মারধর করেই যাচ্ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির নিচে অনেকে কিশোরকে মারার পক্ষে–বিপক্ষে মন্তব্য করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখিছি। আজ রোববার দুপুরে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু কেউ কিছু জানে না বলেছে। তারা এভাবে না মেরে আমাদের হাতে দিলেও হতো।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

থানার পাশের দিঘিতে ভাসছিল এক ব্যক্তির লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

ফেনী সদর মডেল থানার সঙ্গে লাগোয়া রাজাঝির দিঘি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাতে দিঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক কর্মচারী মাছের খাবার দিতে গিয়ে লাশটি দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪২ বছর। তাঁর পরনে শার্ট, লুঙ্গি ও মাফলার ছিল।

দিঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত মো. শাহীন নামের ওই ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি রাতে দিঘিতে মাছের খাবার দেওয়ার বিষয়টি আমি তদারক করি। এরই অংশ হিসেবে গতকাল দিঘির পশ্চিম পাড় দিয়ে হাঁটার সময় লাশটি দেখতে পাই। এরপর পুলিশকে খবর দিই।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েক দিন আগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

সজল কান্তি দাশ আরও বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ চেষ্টা করছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ