মুঠোফোন চুরির অভিযোগ তুলে এক কিশোরকে গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। ভিডিওর ক্যাপশনে ঘটনাস্থল চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট পুকুরপাড় এবং মুঠোফোন চুরির কথা উল্লেখ করা রয়েছে। তবে মারধরের ঘটনাটি কখন ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শনিবার রাতে এ রকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

ভিডিওতে দেখা যায়- মারধরকারী যুবকটির পরনে ছিল ছাই রঙের টি–শার্ট। কলার মোটা একটা কান্দি দিয়ে তিনি অনবরত পিটিয়ে যাচ্ছিলেন কিশোরটিকে। এ ঘটনা অনেকে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। কেউবা ভিডিও করছিলেন। তবে এক ব্যক্তি হাত দিয়ে মারধরকারী যুবকটিকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু যুবকটি অনবরত মারধর করেই যাচ্ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির নিচে অনেকে কিশোরকে মারার পক্ষে–বিপক্ষে মন্তব্য করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখিছি। আজ রোববার দুপুরে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু কেউ কিছু জানে না বলেছে। তারা এভাবে না মেরে আমাদের হাতে দিলেও হতো।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারের মর্টারশেল ও গুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের ভেতরে চলমান সংঘর্ষের জেরে মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও টানা গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। 

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো কেঁপে ওঠে।

স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপার থেকে একটানা মর্টারশেল নিক্ষেপ ও ভারী অস্ত্রের গোলাগুলি চলতে থাকে। এসময় বাংলাদেশের ভেতরে কয়েকটি বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলি এসে পড়ে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা জানান, নাফ নদীতে একটি মর্টারশেল পড়লে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়। 

তিনি বলেন, ‘‘আজ শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে পুরো সীমান্ত এলাকায় মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দে সীমান্তবর্তী বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’’

স্থানীয়রা জানান, হোয়াইক্যং বাজার এলাকার মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস এবং বালুখালী গ্রামের সরওয়ার আলমের বাড়িতে কয়েকটি গুলি এসে পড়েছে।

হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, ‘‘মিয়ানমার সীমান্তের দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। কয়েকটি বসতঘরে গুলি পড়ার তথ্য পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’’

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ