শেয়ারবাজারে দর পতন টানা পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। গত সপ্তাহে সব কার্যদিবসে পতনের পর গতকাল রোববার ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৬১ শতাংশ শেয়ার ও ফান্ড দর হারিয়েছে। বেশির ভাগ শেয়ারের দর পতনে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ২৩ পয়েন্ট হারিয়ে ৫০৭৪ পয়েন্টে নেমেছে। গতকালের পতনসহ সূচকের টানা পতন হলো প্রায় ১৩১ পয়েন্ট বা আড়াই শতাংশ।
গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ৩৫৭টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ২২৩টি বা ৫৬ শতাংশের দর কমেছে। ৯৬টির দর বেড়েছে। অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টির দর। এ ছাড়া ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে চারটির দর বেড়েছে, কমেছে ১৮টির এবং ১৪টি অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ৩৫১ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের কর্মদিবসের তুলনায় পৌনে ১২ কোটি টাকা বেশি। 
বীমা ছাড়া বাকি সব খাতের অধিকাংশ কোম্পানির দর কমেছে। এসব খাতের ৩০২ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৫৫টির দর বেড়েছে। বীমা খাতের ৫৮ কোম্পানির মধ্যে ৪১টির দর বেড়েছে। বেশি কোম্পানি রয়েছে এমন খাতের মধ্যে প্রকৌশল খাতের গড় দর পতনের হার ছিল সর্বাধিক ২ দশমিক ১৫ শতাংশ। এ খাতের ৪২ কোম্পানির মধ্যে পাঁচটির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৩৪টির দর কমেছে। এর পরের অবস্থানে থাকা ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে গড় দর পতনের হার ছিল ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
অপেক্ষাকৃত কম কোম্পানির খাতগুলোর মধ্যে সিমেন্ট খাতে গড়ে ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ দর পতন হয়েছে। এ খাতের সাত কোম্পানির মধ্যে ছয়টিই দর হারিয়েছে। অন্যান্য খাতের মধ্যে কাগজ ও ছাপাখানা খাতের সোয়া ২ শতাংশ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের প্রায় দেড় শতাংশ দর পতন হয়েছে।
সার্বিক দর পতনের মধ্যেও গতকাল এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল কোম্পানির দর ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে। পরের অবস্থানে থাকা সেনা ইন্স্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিক্স এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের দর সাড়ে ৯ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ক্রেতার চাহিদায় শেয়ারগুলো দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়। বিপরীতে পৌনে ৯ শতাংশ দর পতন নিয়ে শীর্ষে ছিল বিচ হ্যাচারি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র র দর ব ড় ছ শ য় রব জ র দর পতন গতক ল পতন র

এছাড়াও পড়ুন:

মিস সুইজারল্যান্ড ফাইনালিস্টকে হত্যার পর মরদেহ টুকরা করেন স্বামী

সুইজারল্যান্ডের সাবেক মিস সুইজারল্যান্ড ফাইনালিস্টকে (চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত) হত্যা করে মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছিল। শুধু তা–ই নয়, মরদেহের কিছু কিছু অংশ ব্লেন্ডারে পিষে ফেলা হয়েছিল। অভিযোগ, এভাবে তাঁকে হত্যা করেছেন তাঁরই স্বামী। তদন্ত শেষে গতকাল বুধবার থমাস নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের বেসেল-ল্যান্ডশাফট অঞ্চলের সরকারি প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানায়, নিহত নারীর নাম ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচ। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৮ বছর বয়সী এ নারীকে বেসেল শহরের কাছে বিনিংগেনে নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে গতকাল জোকসিমোভিচের স্বামী ৪৩ বছর বয়সী থমাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। থমাস শ্বাস রোধ করে জোকসিমোভিচকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমের গোপনীয়তার নীতির কারণে থমাসের পুরো নাম প্রকাশ করা হয়নি।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও আদালতের নথি অনুসারে, মেশিনচালিত করাত, ছুরি এবং বাগান পরিচর্যার কাঁচি দিয়ে জোকসিমোভিচের শরীর কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছিল। তবে শুধু গর্ভাশয় আলাদা করে সরানো হয়েছিল। কিছু অংশ বড় ব্লেন্ডারে পিষে রাসায়নিক দ্রবণে গলানো হয়েছিল। এসব কাজ করার সময় মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ভিডিও দেখছিলেন থমাস।

জোকসিমোভিচকে হত্যার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে তাঁর বাবার। জামাকাপড় ধোয়ার ঘরে (লন্ড্রি রুম) কালো ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসা সোনালি চুল দেখে তিনি ভয়ংকর কিছুর আশঙ্কা করেন। তদন্ত চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে ব্লেন্ডার, দেহের কিছু অংশ, চামড়ার টুকরা ও হাড়ের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচের স্বামীর নাম হিসেবে সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে শুধু থমাস উল্লেখ করা হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ