জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি হামলার অভিযোগে সাভারে পৃথক স্থান থেকে কৃষক লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার রাতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন এবং মানিকগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাকা জেলার সাভার থানার বিরুলিয়া ইউনিয়নের জিনজিরা গ্রামের দানেছ আলীর ছেলে ও বিরুলিয়া ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি মো.

বিল্লাল হোসেন (৩৫) এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাভার উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি রকিব আহমেদ রকি (২৮)।

সোমবার সকালে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে কৃষকলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন বিরুলিয়ার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হত্যায় অংশ নেওয়ার অভিযোগসহ এলাকায় জমি দখল ও মানুষকে হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সুবিধা বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাভার উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি রকিব আহমেদ রকি সরাসরি ছাত্র জনতার ওপর হামলার মামলায় অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলার পাশাপাশি এলাকায় মাদক বিক্রি ও কিশোর গ্যাং পরিচালনাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

গ্রেপ্তার রকি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীনও নানা অপকর্মের কারণে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে কয়েকটি হত্যা মামলাসহ অর্ধডজন মামলা রয়েছে। সাভারের আলোচিত রোহান হত্যা হত্যার সঙ্গেও তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কতটি মামলা রয়েছে তা দেখে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ