গাজায় খাবার, ওষুধ ও পানির তীব্র সংকট
Published: 22nd, April 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলের অবরোধের মুখে ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে ত্রাণবাহী কোনো গাড়ি পৌঁছতে পারছে না। এতে উপত্যকায় খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। এ অবস্থায় ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সরবরাহ চালুর আহ্বান জানিয়েছে। এ সংকটের মধ্যেও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে উপত্যকায় এক দিনে প্রাণ গেছে আরও ৩৯ জনের।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএর বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার আলজাজিরা জানায়, ইসরায়েলের বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজার পরিস্থিতি ক্রমে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। পানি সংকট তীব্র হচ্ছে। সেই সঙ্গে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ওসিএইচএ বলছে, ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ভবনে উদ্ধারকাজ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মীরা। তাদের পর্যাপ্ত উদ্ধার উপকরণ নেই। সেই সঙ্গে শত শত ত্রাণ-উদ্ধারকর্মীরা হত্যার শিকার হওয়ায় লোকবলও কমে গেছে।
গাজা থেকে আলজাজিরার প্রতিনিধি জানান, উপত্যকায় ওষুধের সরবরাহ না থাকায় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গত ২ মার্চ নতুন করে অবরোধ করার পর গাজায় কোনো ওষুধ প্রবেশ করতে পারেনি। হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যু হচ্ছে বিনা চিকিৎসায়। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিএ আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছেন, গাজার বেসামরিক মানুষ ‘অকল্পনীয় ভোগান্তি’র মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইউএনআরডব্লিএ বলছে, উপত্যকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষ। ফিলিস্তিনের মানুষকে এভাবে সমন্বিত শাস্তি দেওয়া কোনো যুক্তিতেই সঠিক নয়।
আনাদোলু অনলাইন জানায়, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় সোমবার এক দিনে আরও ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬২ জন। এতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া গণহত্যায় নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ২৪০ জনে পৌঁছাল। মোট আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৩১ জন। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।
ভুল বোঝাবুঝিতে সেবাকর্মী হত্যা, বলছে ইসরায়েল
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে, সেনাসদস্যদের ভুল বোঝাবুঝি ও আদেশ অমান্য করার কারণে ওই দিন গাজায় ১৫ জন জরুরি সেবাকর্মী নিহত হন। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তদন্তে বাধ্য হওয়া ইসরায়েল আরও জানায়, জরুরি কর্মীদের শত্রুপক্ষের লোক মনে করে গুলি ছুড়েছিল ইসরায়েলের সেনারা। সরাসরি হত্যার অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এ ধরনের প্রতিবেদনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। আইডিএফ দায় এড়াতে এটা ব্যক্তিগত ভুল হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে।
ফিলিস্তিনিরা ভয়াবহ অবিচারের মুখোমুখি: মিসরের পোপ
গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার নিন্দা জানিয়ে মিসরের কপটিক অর্থডক্স খ্রিষ্টান চার্চের প্রধান পোপ টাওয়াড্রোস দ্বিতীয় এটাকে ‘ফিলিস্তিনিদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ অন্যায়ের উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। আনাদোলু অনলাইন জানায়, তিনি বলেছেন, ‘প্রতিদিন ফিলিস্তিনিরা নিজেদের মাতৃভূমির ধ্বংসের মধ্য দিয়ে চরম অবিচারের শিকার হচ্ছেন।’
সিরীয় ভূখণ্ড পরিদর্শনে ইসরাইলের সেনাপ্রধান
অধিকৃত সিরীয় ভূখণ্ড পরিদর্শন করেছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান ইয়াল জামির। গত রোববার তিনি এ পরিদর্শন করেন। এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, সেনাপ্রধান সেখানে কর্মরত কমান্ডার ও সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অভিযান পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ার অধিকৃত এলাকায় অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী করার ইঙ্গিত এটি।
অধিকৃত সিরিয়ার বাফার জোন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে জামির এ অঞ্চলটিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেন। তাঁর দাবি, ‘সিরিয়া ভেঙে পড়েছে’ বলেই ইসরায়েল এটি দখল করেছে। জামির বলেন, ‘এ জন্যই আমরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছি এবং সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়ে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সামনের সারিতে আছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র স অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও ৭% কমতে পারে, বাংলাদেশে কেন কমছে না
চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে দাম কমার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে, চলতি বছরে সামগ্রিকভাবে পণ্যমূল্য ৭ শতাংশ কমবে। আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে পণ্যমূল্য আরও ৭ শতাংশ কমবে। এ দাম হবে ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে তার প্রভাব নেই। দেশে মূল্যস্ফীতির হার এখনো ৮ শতাংশের ঘরে। যদিও একসময় তা দুই অঙ্ক ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ হয়েছে। দেশের মানুষকে এখনো বাড়তি দামেই পণ্য ও সেবা কিনতে হচ্ছে। আগামী বছর নিত্যপণ্যের দাম কমবে কি না, সেই নিশ্চয়তাও নেই। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশে এর প্রভাব কম।
বিশ্বব্যাংকের ‘কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক অক্টোবর ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২৫ সালের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। যার মূল কারণ হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছে জ্বালানির দাম কমে যাওয়া। সেই সঙ্গে আরও কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে তারা। সেগুলো হলো চীনে তেলের চাহিদা বৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া এবং বিশ্ববাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় তেলের দামে বড় ধরনের পতন ঘটা। খাদ্যপণ্যের দাম বছরের শুরু থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকে, কিন্তু বছরের প্রথমার্ধে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পানীয় পণ্যের দাম হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যায়। এ ছাড়া বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। মূলত রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে মানুষ সোনার দিকে ছুটেছেন।
বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্য নির্ধারণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে জ্বালানির দাম আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে আরও ১০ শতাংশ কমবে। ২০২৭ সালে তা আবার প্রায় ৬ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস ২০২৬ সালে কৃষিপণ্য, খাদ্য ও কাঁচামালের দাম কমবে। চলতি বছরেও এসব পণ্যের দাম কমেছে।
জ্বালানি তেলবিশ্বব্যাংকের ২০২৬ সালের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বাড়ায় গ্যাসের দাম কিছুটা বাড়লেও তেলের দাম কমে যাবে এবং সেই প্রভাবকে ছাপিয়ে যাবে। ২০২৫ সালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম হতে পারে ব্যারেলপ্রতি গড়ে ৬৮ ডলার; ২০২৪ সালের ৮১ ডলারের তুলনায় যা বেশ কম। ২০২৬ সালে এই দাম আরও কমে ব্যারেলপ্রতি গড়ে ৬০ ডলারে নামতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পূর্বাভাস অনুযায়ী, তেলের ব্যবহার বৃদ্ধির হার আরও কমবে—মূলত চীনের চাহিদা কমে যাওয়া, বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ির দ্রুত প্রসার ও বৈশ্বিক তেল সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
২০২৫ সালে বৈশ্বিক তেলের বাজারে সরবরাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২৬ সালে তা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২০ সালের সর্বোচ্চ মাত্রার তুলনায় প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি হবে এ সরবরাহ।
কৃষিপণ্যবিশ্বব্যাংক গ্রুপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কৃষিপণ্যের মূল্যসূচক ২০২৫ সালে স্থিতিশীল আছে। ২০২৬ সালে তা সামান্য ২ শতাংশ ও ২০২৭ সালে আরও ১ শতাংশ কমবে।
খাদ্যপণ্যের দাম, যেমন শস্য, তেল, প্রোটিনজাত খাবারসহ অন্যান্য খাদ্যের দাম সাম্প্রতিক সীমার কাছাকাছি থাকবে। তবে মাঝেমধ্যে সামান্য কিছুটা ওঠানামা থাকবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রধান ফসলগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধির হার আবার দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতায় ফিরে আসছে।
২০২৫ সালের বাকি সময়ে সয়াবিনের দাম কমবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের যে সয়াবিন সাধারণত চীনে রপ্তানি হয়, তা এবার কম দামে অন্য ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হতে পারে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্রে হচ্ছে এই সয়াবিন। চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সয়াবিন কিনছে না। ফলে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে এই পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে দাম কমে গেলে যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন চাষের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে, তবে ব্রাজিল তার সয়াবিন আবাদ আরও বাড়ানোর পথে রয়েছে। পানীয় পণ্যের দাম ২০২৬ সালে ৭ শতাংশ ও ২০২৭ সালে প্রায় ৫ শতাংশ কমবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চলতি বছর সারের দাম সামগ্রিকভাবে ২১ শতাংশ বাড়তি। চাহিদা বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা ও কিছু অঞ্চলে সরবরাহ–ঘাটতির কারণে এ দাম বেড়ে যাওয়া। ২০২৬ ও ২০২৭ সালে দাম প্রায় ৫ শতাংশ কমতে পারে। তবু ২০১৫-১৯ সালের গড় দামের তুলনায় তা অনেক বেশি থাকবে। এর কারণ হলো উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া, রপ্তানি সীমাবদ্ধতা ও চলমান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা।
চীন ইতিমধ্যে নাইট্রোজেন ও ফসফেট সার রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। অন্যদিকে পটাশ সরবরাহকারী বড় দেশ বেলারুশ এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে। রাশিয়া ও বেলারুশ—উভয় দেশই সারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নতুন শুল্কের সম্মুখীন।
দেশে কেন দাম বেশিবিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশের বাজার দাম না কমার অন্যতম প্রধান কারণ ডলারের দামের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন। গত তিন বছরে ডলার দাম অনেকটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে দেশের অনেক আমদানি পণ্যে শুল্ক বেশি বলে মনে করেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে দাম কমছে না। বাজারে চাহিদা কত বা কখন কোন পণ্য আমদানি করতে হবে, সে বিষয়ে যথাযথ তথ্যের ঘাটতি আছে। ফলে সময়মতো পণ্য আমদানি হয় না।
আরেকটি বিষয় হলো দেশে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, তার অনেক কিছু উৎপাদিতও হয়। কিন্তু বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের সরবরাহে টান পড়েছে। বাজারের পণ্যমূল্যে তার প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তিন বছর আগে দেশে ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকা। এখন তা বেড়ে ১২২ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক মাস ধরে আমদানির ঋণপত্র খোলাও কমেছে। এতে আমসদানিতে চাপ পড়ছে।
দেশের বাজার উচ্চ মূল্যের কারণ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সেলিম রায়হান বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশের বাজারে তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। জ্বালানি ও পরিবহন ব্যয়, শুল্ক ও করের চাপ ও বাজার ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতার কারণে দাম কমছে না। পাইকারি থেকে খুচরা পর্যন্ত অতি মুনাফা ও অস্বচ্ছ বাণিজ্যিক শৃঙ্খলের কারণেও বাজারে কৃত্রিমভাবে উচ্চমূল্য বিরাজ করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টাকার অবমূল্যায়ন। ফলে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে এবং আন্তর্জাতিক মূল্যহ্রাসের সুফল ভোক্তাপর্যায়ে পড়ছে না।
সেলিম রায়হান আরও বলেন, এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার কারণ ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীরা নতুন ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। পণ্য পরিবহন ও আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাজারে পণ্যের ঘাটতি ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
দেশে তিন বছর ধরেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। সম্প্রতি তা কিছুটা কমলেও সেপ্টেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত আগস্ট মাসে এই হার ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।