অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় যুবদলকর্মী গ্রেপ্তার, অস্ত্র-বোমা উদ্ধার
Published: 22nd, April 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের মুন্সীগঞ্জ-মুন্সীরহাট সড়কের পাঁচঘড়িয়া কান্দি নতুন ব্রিজের ঢালে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় বাবু মিজি (৩৬) নামে এক যুবদল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি ধারালো ছোঁড়া, ৪টি হাত বোমা ও ২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাবু মিজিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার বাবু মিজি সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য এবং চরকেওয়ার ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির মিজির ছেলে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়াও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে সদর থানায় মামলা রুজুর পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ফিরোজ কবির জানিয়েছেন, সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ-মুন্সীরহাট সড়কের পাঁচঘড়িয়া কান্দি এলাকার নতুন ব্রিজের ঢালে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত বাবু মিজি তার দুই সহযোগীকে নিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করার চেষ্টা করছিল। এতে চালক চিৎকার করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবু মিজিকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানানা, বাবু মিজির দেহ তল্লাশি চালিয়ে ১টি ধারালো ছোঁড়া, ৪টি হাত বোমা ও ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় তার সঙ্গে থাকা দুই সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, বোমা ও ধারালো ছুরিসহ গ্রেপ্তার বাবু মিজিসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালে মামলা রুজু করা হয়েছে। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য বদল গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’