একজন পুরুষ, একজন নারী, একটি জনশূন্য সমুদ্রসৈকত, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। তিন মাস পুরোনো একটি ভাবনা। তিন সপ্তাহের শুটিং। বিশ সেকেন্ডের একটি দৃশ্য। এ ঘটনা ঘটেছিল আজ থেকে ঠিক ৬০ বছর আগে। ১৯৬৫ সালে, ক্লদ লেলুশের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভগ্নহৃদয় দুই মানুষ–আনুক এমে এবং জঁ-লুই ত্রঁতিনিয়াঁর একটি আবেগঘন মুহূর্ত। তারা একে অপরের ভালোবাসার ঘূর্ণিপাকে একত্র হয়েছিলেন।
এটি ছিল ‘অ্যা ম্যান অ্যান্ড অ্যা ওম্যান’ ছবির স্মরণীয় দৃশ্য। একজন পুরুষ এবং একজন নারী– যারা একে অপরকে ভালোবাসেন, তাদের আলাদা করা যায় না। এই পুরুষকে ওই নারী থেকে আলাদা করা যায় না। তাই, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, কান চলচ্চিত্র উৎসব বেছে নিয়েছে একটি ডাবল অফিসিয়াল পোস্টার। একজন পুরুষ এবং একজন নারী– পাশাপাশি, আবার এক সঙ্গে। উৎসব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘পোস্টার দুটির মাধ্যমে দুই প্রয়াত ফরাসি তারকা আনুক এমে ও জ্যঁ-লুই ত্রাতিনোঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হলো।
কান উৎসবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘আনুক এমে ও জ্যঁ-লুই ত্রাতিনোঁ এই দুটি পোস্টারের মতো চিরকাল আমাদের জীবনের চলচ্চিত্রকে আলোকিত করে যাবেন, যার রঙে ফুটে থাকে হতাশার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসা আবেগপ্রবণ ভালোবাসার তীব্রতা।’ কান উৎসবে জ্যঁ-লুই ত্রাতিনোঁ ১৯৬৯ সালে ‘জি’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা আর আনুক এমে ১৯৮০ সালে ‘অ্যা লিপ ইন দ্য ডার্ক’ ছবির সুবাদে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কৃত হন। তারা দু’জনেই প্রয়াত হয়েছেন।
৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠবে আগামী ১৩ মে। এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে বিচারকদের সভাপতি হিসেবে থাকছেন ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
দ্বিতীয় বছরের মত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের কোনো সিনেমাা বা তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে না। সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কমিটির তরফে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হয়ছে। পরবর্তীতে কমিটির তরফে তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যে ছবি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে কোন ক্যাটাগরিতেই বাংলাদেশি সিনেমার নাম উল্লেখ নেই।
মূলত ভিসা জটিলতা এবং রাজনৈতিক কারণেই এই চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের উপস্থিতি থাকছে না।
বিষয়টি নিয়ে গত বছরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন পরিচালক গৌতম ঘোষ। সেসময় তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সেদেশে ভিসা সমস্যা রয়েছে। আর বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসতে অনেকটা সময় লাগবে। স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থায় চলচ্চিত্র উৎসবের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো ছবি নেই। আমরা আশা করব চলচ্চিত্র উৎসবের পরবর্তী এডিশনের (৩১ তম) আগে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অবস্থার যে কোনো পরিবর্তন হয়নি তা চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের অনুপস্থিতির ঘটনাটাই পরিষ্কার।
যদিও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি কমিটির এক সদস্য বলেছেন, “আন্তর্জাতিক বিভাগে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র একটি ছবি জমা দেওয়া হয়েছিল। তানভীর চৌধুরীর ‘কাফ্ফারাহ’। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটি আমাদের কাঙ্ক্ষিত মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। ফলে চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবিটি জায়গা পায়নি।”
চলতি বছরের ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এক সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই উৎসবে ৩৯ টি দেশের ২১৫ টি ছবি দেখানো হবে। ভারত ছাড়াও অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইতালি, ব্রাজিল, মরক্কো, অস্ট্রিয়া, তুরস্ক, বলিভিয়া, গুয়েতেমালা, শ্রীলংকা, চীন, জাপান, ইরান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, ফিলিস্তিন, ইরাক, সৌদি আরব, মিশর, সুদান, লেবানন।
সুচরিতা/শাহেদ