গরমে ব্যালকনি মানেই স্বস্তির জায়গা। কড়া রোদের শেষে হাওয়া-বাতাসের আশায় বারান্দায় পা রাখছেন বাড়ির মালিকেরা। গরমের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা না থাকলে বিকেলের পর বারান্দাই হতে পারে আপনার শান্তির ঠিকানা। অথবা অতিথি এলে আপনার ছোট ব্যালকনিতেই জমে উঠতে পারে আড্ডা। তা হলে দেরি না করে অনন্য করে তুলুন বর্গাকার বা আয়তাকার ব্যালকনি।

প্রকৃতির ছোঁয়া: দামি দামি জিনিস কিনে বারান্দায় এনে রাখলেই হয় না। বরং কম খরচে ছোটখাটো গাছপালা এনে সাজালে সুন্দরের পাশাপাশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে আপনার ব্যালকনি। সুস্থ হাওয়া-বাতাসে আরও আরামদায়ক মনে হবে বাড়ির এই ছোট্ট কোণটিকে। টবে লাগানো গাছপালা মেঝেতে রাখতে পারেন। কিন্তু সবচেয়ে ভাল হয়, দেওয়ালে ঝুলন্ত প্ল্যান্টার ব্যবহার করলে। এতে জায়গাও বাঁচবে, পাশাপাশি অভিনব হয়ে উঠবে গৃহসজ্জা।

বসার জায়গা: বারান্দার ব্যবহার বাড়াতে আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা কিন্তু অপরিহার্য। দামি আসবাবপত্রের বদলে ফোল্ডিং চেয়ার-টেবিল এনে রাখতে পারেন। বৃষ্টির সময়ে প্রয়োজনে সেগুলি ঘরের ভিতরে নিয়ে যেতে পারবেন। যদি বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য বারান্দায় কাচের জানালা থাকে, তা হলে নিচু, মেঝেতে রাখার সোফাও ব্যবহার করতে পারেন। এর পাশাপাশি ছোট দোলনা টাঙিয়ে দিন এক পাশে। তা হলে অনেকের বসার বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। তা ছাড়া স্টোরেজ বেঞ্চও রাখতে পারেন। একাধারে বসে আড্ডা এবং জিনিসপত্র রাখার কাজ, দু’টিই হয়ে যাবে।

গালিচা অথবা ঘাস-কার্পেট: বারান্দার মেঝেকে আরও আরামদায়ক করতে হলে নরম রঙিন গালিচা পেতে দিতে পারেন। অথবা কৃত্রিম ঘাসের কার্পেটও রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে নীচে বসার সুবিধা পাবেন, আবার হাঁটাচলাতেও আরাম হবে। উপরন্তু, ছোট্ট বারান্দাটি দেখতে সুন্দর লাগবে।

আলোকসজ্জা: সন্ধ্যার পর বারান্দাকে আলোকোজ্জ্বল দেখাতে আলো দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। মস্ত ঝাড়লণ্ঠন বা ল্যাম্পশেড নয়। এতে জায়গা নষ্ট হবে। টুনি বাল্‌ব দিয়ে মাথার উপর ঝুলিয়ে দিতে পারেন। অথবা দেওয়াল জুড়ে টুনি বাল্‌ব সেঁটে দিতে পারেন। কিংবা পুরনো দিনের লণ্ঠনের মতো আলো দেওয়ালে পেরেক দিয়ে টাঙিয়ে দিতে পারেন। জায়গা বাঁচবে, দেখতেও সুন্দর লাগবে।

নিজস্বতার ছোঁয়া: নিজে হাতে রঙ করা পাত্র, নিজের আঁকা, হাতে তৈরি কুশন অথবা অরিগ্যামির মতো আপনার নিজস্ব জিনিসপত্র দিয়ে ব্যালকনি সাজালে, তাতে অন্য মাত্রা যোগ হয়। অন্য সব সজ্জিত বারান্দার পাশে আপনার ব্যালকনি হয়ে উঠতে পারে অনন্য।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ