তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। আজ বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিএফডিসির উদ্যোগে ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, বিএফডিসির অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নেও কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

দেশে চলচ্চিত্রের বৃহৎ বাজারের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, চলচ্চিত্রশিল্পের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য বিএফডিসিসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাজ করতে হবে। কবিরপুরে নির্মাণাধীন ফিল্ম সিটিকে ঘিরে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আগ্রহ রয়েছে। তিনি কবিরপুরে অত্যাধুনিক ফিল্ম সিটির নির্মাণকাজ এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, শুটিংয়ের জন্য বিএফডিসির বিদ্যমান অবকাঠামোর সংস্কার করতে হবে। তিনি কবিরপুরে নির্মাণাধীন ফিল্ম সিটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বিএফডিসি কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান। তিনি বিএফডিসির সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রগ্রাহকসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এফড স র চলচ চ ত র ক জ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ