জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের দোষারোপের পরপরই কিয়েভে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৯
Published: 24th, April 2025 GMT
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দায়ী করার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এসব হামলা হয়।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, কিয়েভকে লক্ষ্য করে রাশিয়া ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৪৫টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আবাসিক ভবন, বেসামরিক অবকাঠামোসহ কিয়েভের অন্তত ১৩টি স্থানকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
হামলার পরপরই জেলেনস্কি ঘোষণা দেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সংক্ষিপ্ত করে ইউক্রেনে ফিরছেন। গতকাল বুধবার রাতে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন।
জেলেনস্কি বলেন, আসলে কী ঘটছে, তা সারা বিশ্বের মানুষের দেখা ও বোঝা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহযোগিতা করার জন্য অচিরেই আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি এলাকায় হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে উদ্ধারকাজ চলছে। ২৪ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
হরমুজ প্রণালি বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা
তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে এক ঘোষণায় জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হরমুজ প্রণালি দিয়ে কোনো জাহাজ চলতে পারবে না। এরই মধ্যে অপরিশোধিত তেলের দামও বেড়ে গেছে।
এই ঘোষণায় স্পষ্ট হয়ে গেছে, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরও জোরদার করবে এবং হরমুজ প্রণালিকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করবে, যা বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ জলপথ।
হরমুজ প্রণালি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগতভাবে সংবেদনশীল একটি সমুদ্রপথ। এটি পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে এবং ইরান ও ওমানের মাঝখানে অবস্থিত।
প্রণালিটির প্রস্থ খুব বেশি নয়, সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গায় মাত্র ৩৯ কিলোমিটার, যার মধ্যে কেবল দুটি সংকীর্ণ চ্যানেল দিয়ে বড় জাহাজ চলাচল করতে পারে। তবে ছোট এই পানিপথ দিয়েই প্রতিদিন বিশ্বের মোট সমুদ্রপথে পরিবাহিত তেলের প্রায় ২০ শতাংশ যাতায়াত করে, যা একে বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
হরমুজ প্রণালি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ইরান প্রায়ই এই প্রণালিকে একটি কৌশলগত চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা বা সামরিক হুমকির জবাবে ইরান একাধিকবার হুমকি দিয়েছে, তারা হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে, যা গোটা বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বারবার এই প্রণালির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে।
ইরানে হামলার পরপরই হরমুজ প্রণালি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। খবর আলজাজিরার।