কয়েক দশক ধরে আমাদের সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীসদৃশ গ্রহ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর মতো এসব গ্রহ অনেক ছোট হওয়ায় শনাক্ত করা বেশ কঠিন। এবার বিশেষ ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ব্যবহার করে পৃথিবীসদৃশ ৪৪টি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

জার্মানির বার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইজারল্যান্ডের ন্যাশনাল সেন্টার অব কম্পিটেন্স ইন রিসার্চ প্ল্যানেটএসের বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি মডেলকে গ্রহ শনাক্ত করার কাজে প্রশিক্ষিত করেছেন। তবে এআই মডেলটি রাতের আকাশ দেখে গ্রহের খোঁজ দিতে পারে না। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে অজানা পৃথিবীসদৃশ গ্রহ কোথায় লুকিয়ে থাকতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। নতুন এই মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ৯৯ ভাগ নির্ভুলভাবে পৃথিবীসদৃশ গ্রহগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমাদের সৌরজগতের বাইরে গ্রহের সন্ধান করা অনেক কঠিন। অনেক তারার একাধিক গ্রহ রয়েছে। লুকানো গ্রহগুলোর পূর্বাভাস জানার জন্য এআই ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে এআই মডেলটি ৪৪টি পৃথিবীসদৃশ গ্রহের খোঁজ দিয়েছে। ভবিষ্যতে এআই মডেলকে আরও প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন গ্রহের সন্ধান করা হবে।

সূত্র: ফোর্বেস

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সৌরজগতের নতুন বামন গ্রহ নিয়ে এত আলোচনা কেন

 আমাদের সৌরজগতের অচেনা ও অন্ধকার প্রান্তে ‘প্ল্যানেট নাইন’ নামের বিশাল ও রহস্যময় গ্রহ লুকিয়ে আছে বলে মনে করেন অনেক বিজ্ঞানী। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে কল্পিত এই প্ল্যানেট নাইন গ্রহের সন্ধান করছেন তাঁরা। গ্রহটির সন্ধান পাওয়া না গেলেও সৌরজগতের অচেনা ও অন্ধকার প্রান্তে একটি নতুন বামন গ্রহ খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। নতুন এই বামন গ্রহের অস্তিত্ব প্ল্যানেট নাইন তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। আর তাই বামন গ্রহটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে চলছে তুমুল আলোচনা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নেপচুনের অপর পাশে বরফের পাথরের অদ্ভুত, গুচ্ছবদ্ধ কক্ষপথ ইঙ্গিত দেয় সেখানে বড় কিছু আছে। এই বড় কিছুর মধ্যে প্ল্যানেট নাইনও থাকতে পারে। সেই এলাকাতেই ‘২০১৭ ওএফ২০১’ নামের বামন গ্রহের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। প্রায় ৭০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই গ্রহটি প্রায় ২৫ হাজার বছরে নিজ কক্ষপথে আবর্তন করায় পৃথিবী থেকে খুব কম সময়ের জন্য পর্যবেক্ষণ করা যায়।

নতুন বামন গ্রহটির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির বিজ্ঞানী সিহাও চেং বলেন, এই বামন গ্রহ প্লুটোর চেয়ে তিন গুণ ছোট হলেও বামন গ্রহ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট বড়। গ্রহটির দীর্ঘ কক্ষপথ রয়েছে। পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার দূরত্বের ১ হাজার ৬০০ গুণের বেশি দূরত্বে অবস্থান করছে গ্রহটি।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে প্লুটোকে বামন গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়। সৌরজগতে সব মিলিয়ে আরও চারটি বামন গ্রহ রয়েছে। নতুন বামন গ্রহটি এই তালিকায় শিগগিরই যুক্ত করা হবে। জেমস ওয়েব, হাবল ও আলমা টেলিস্কোপের তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রহটির অবস্থান শনাক্ত করা বিজ্ঞানী স্যাম ডিন বলেন, বামন বস্তুটি সৌরজগতের আকর্ষণীয় আবিষ্কারের মধ্যে একটি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌরজগতের নতুন বামন গ্রহ নিয়ে এত আলোচনা কেন