হ্যারি কেনের সামনে প্রথম শিরোপার হাতছানি
Published: 24th, April 2025 GMT
জার্মান বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখ শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে। এই শনিবার (২৬ এপ্রিল) যদি তারা মেইঞ্জকে হারাতে পারে এবং প্রতিপক্ষ লেভারকুসেন অগসবুর্গের বিপক্ষে জয় না পায় তাহলেই চ্যাম্পিয়ন হবে বায়ার্ন। এটি হলে হ্যারি কেনের ক্যারিয়ারের প্রথম বড় শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে। টটেনহ্যাম ও ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলে গেলেও কখনো কোনো বড় ট্রফি জিততে পারেননি তিনি।
বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের হয়ে ৬০ ম্যাচে ৬০ গোল করে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ৩১ বছর বয়সী এই ইংলিশ তারকা এবার ২৪ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইটিও জমিয়ে তুলেছেন। টমাস মুলারের জন্যও এটি বিশেষ ম্যাচ হতে পারে। বায়ার্নে ২৫ বছর কাটিয়ে তিনি বিদায় নিতে যাচ্ছেন। এটি হতে পারে তার ৫০০তম লিগ ম্যাচ।
৩০ ম্যাচ থেকে বায়ার্নের পয়েন্ট এখন ৭২। আর লেভারকুসেনের পয়েন্ট ৬৪। লিগে ম্যাচ বাকি আর ৪টি। চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলানের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর এই শিরোপা জয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বায়ার্ন।
আরো পড়ুন:
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ স্থগিত
ফাইনালের আগে রিয়াল শিবিরে দুঃসংবাদ
অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের বাকি তিনটি জায়গার জন্য চলছে জমজমাট লড়াই। আইনট্রাখট, লেইপজিগ, ফ্রাইবুর্গ, মেইঞ্জ ও ডর্টমুন্ডের মাঝে কে যাবে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায়, তা নির্ধারিত হবে পরের কয়েক ম্যাচেই। ডর্টমুন্ডের জন্য এটি ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতি। তারা যদি ইউরোপিয়ান ফুটবল থেকেও বাদ পড়ে, তবে সেটি হবে মৌসুমের সবচেয়ে বড় ধাক্কা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ ভয় নাই ওরে ভয় নাই/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’। তাঁদের নিঃশেষে প্রাণদানের স্মৃতি আজ গভীর বেদনায় স্মরণ করবে জাতি। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নীলনকশার শিকার হয়ে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন।
অমিত বিক্রম বাঙালির জীবনপণ যুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় তখন ছিল কেবল দিনগণনার বিষয়। সেই অনিবার্য পরাজয়ের প্রাক্কালে মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ঘাতক বাহিনী। স্বাধীনতা অর্জন করলেও বাঙালি জাতি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, সেই চক্রান্ত করেছিল তারা। দেশের সেরা বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। এ কাজে পাকিস্তানি সেনাদের সরাসরি সহায়তা করেছিল তাদের মিত্র এ দেশি রাজাকার, আলবদর বাহিনী। এরাই ঘাতক সেনাদের নিয়ে গিয়ে চিনিয়ে দিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি। চিনিয়ে দিয়েছে সেই নিরীহ মানুষগুলোকে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে পরে মিরপুরে রায়েরবাজার পরিত্যক্ত ইটখোলা ও মিরপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক পেশায় যুক্ত মানুষের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তাঁদের অনেকের ছিল পিছমোড়া করে হাত ও চোখ বাঁধা। ভয়ানক নির্যাতনের চিহ্ন ছিল শরীরে। তাঁদের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। এর পর থেকেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়ে আসছে।
শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশেই বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত মানুষদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই হত্যাকাণ্ডের ছিল দুটি পর্যায়। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদার সেনারা রাজধানীতে গণহত্যা শুরু করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ নিরীহ জনসাধারণের পাশাপাশি শিক্ষক, চিকিৎসকদেরও হত্যা করে। এরপর থেকে হানাদাররা সারা দেশের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, সংস্কৃতিসেবীসহ মেধা মনন সৃজনশীল কাজে যুক্ত মানুষদের বেছে বেছে হত্যা করতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধে শেষ পর্যায় তারা এই বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষদের নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য তালিকা করে হত্যা চালাতে থাকে। তাঁদের মধ্যে যেমন প্রবীণ প্রাজ্ঞজনেরা ছিলেন, তেমনি ছিলেন উদিত যৌবনের বহু সম্ভাবনাময় তরতাজা প্রাণ। আজ তাঁদের স্মৃতির স্মরণ করা হবে সারা দেশে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
কর্মসূচিশহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় জানানো হয়েছে, আজ রোববার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাঁরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন। এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় স্যালুট প্রদান করবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং হুইলচেয়ারধারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।