ছাব্বিশ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে র‌্যাবের জালে ধরা পড়লেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জহিরুল ইসলাম (৪৫)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার কাইচাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার জহিরুল নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আজ শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের বাজবি এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে। 

র‌্যাব-১১-এর সিপিসির কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো.

ইশতিয়াক হোসাইন জানান, ১৯৯৯ সালে আড়াইহাজার উপজেলায় একটি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন জহিরুল। মামলার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে র‌্যাব। এক পর্যায়ে ঢাকার আশুলিয়া থানার কাইচাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। 

গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলামকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কোম্পানি কমান্ডার।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী

অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।

স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।

পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।

পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।

ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ