জৈন্তাপুর সীমান্ত থেকে পাথর শ্রমিককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
Published: 25th, April 2025 GMT
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তবর্তী থেকে এক পাথর শ্রমিককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার শ্রীপুর পাথর কোয়ারি এলাকার ১২৮০ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে গেলেও শুক্রবার বিকেলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
শ্রমিক এখলাস উদ্দিন (২৭) উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের নয়াগাত্তি গ্রামের বিলাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি একসময় মোটর মেকানিক ছিলেন। কাজ না পেয়ে সম্প্রতি বালু পাথর সংগ্রহের কাজ শুরু করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাংলাবাজার এলাকার বালুঘাট হতে বারকি নৌকা নিয়ে সীমান্তবর্তী শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে যাওয়ার পথে কয়েকটি বারকি নৌকাকে ধাওয়া করে বিএসএফ। অন্য নৌকা শ্রমিকরা নিরাপদে চলে গেলেও এখলাছ উদ্দিন পারেননি। তাকে নৌকাসহ বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়।
বিজিবি-৪৮ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসএফের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা জানিয়েছে আটক এখলাছ উদ্দিনকে ভারতের ডাউকি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি ডাউকি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক