গত আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক ধাপে ১৩টি ভিন্ন ব্যাংকে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট) সরিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই অর্থ স্থানান্তর ঘিরে নানা গুঞ্জন ছড়ালে বিসিবি এক বিবৃতিতে তা অস্বীকার করে। এবার বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ জানান, অধিক মুনাফার লক্ষ্যে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে অর্থ সরাতেই বিসিবি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বিসিবির অভ্যন্তরীণ নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে কিনা, তা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখবে।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বিসিবির আয়ের একটি বড় উৎস এফডিআরের সুদের হার। আগে যেখানে ৭-৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাচ্ছিল, নতুন ব্যাংকগুলোতে সেটা বেড়ে হয়েছে ১১-১২ শতাংশ। এছাড়া, তিনি জানান, যেসব ব্যাংক থেকে অর্থ সরানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং সেসব ব্যাংকের প্রতি হলুদ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। তার ভাষায়, ‘কেউই চাইবে না নিজের অর্থ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকে রাখতে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বিসিবির অভ্যন্তরীণ নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখব। ফাইন্যান্স ডিরেক্টরের অনুমোদনসহ প্রক্রিয়াটি যথাযথ ছিল কিনা, সেটাও পর্যালোচনা করা হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ