কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি, প্রথম চুয়েটের রিফাত
Published: 27th, April 2025 GMT
স্থাপত্যবিদ্যার তরুণ শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে উদীয়মান তিন ভবিষ্যৎ স্থপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড’। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর দূরদর্শিতা ও মেধার ভিত্তিতে তিনজন শিক্ষার্থীকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় ষষ্ঠবারের মতো। গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ স্থাপত্য ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও জনপথ এবং সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শিক্ষার্থীদের উপস্থাপন করা বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন শেষে জুরি বোর্ডের বিবেচনায় প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) রিফাত আল ইব্রাহিম, দ্বিতীয় হয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাহিরা সারওয়াত ও তৃতীয় হয়েছেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঁধন দাশ। বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন চুয়েটের খন্দকার মাহাতি ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারিয়া আহমেদ।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘ঢাকা একটি চরিত্রহীন শহর। আমাদের মোগল ঐতিহ্য ছিল। সেটা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। বাংলার আবহমান ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারিনি। আত্মপরিচয় ছাড়া টিকে থাকা সম্ভব না। স্থপতিরাই ঠিক করবেন আমাদের উপযোগী ও উপযুক্ত কোন ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে তরুণ স্থপতিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) সভাপতি স্থপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতিবছর এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে নতুন পেশায় আগত সৃষ্টিশীলদের স্থাপত্য শিক্ষার মানোন্নয়ন হচ্ছে। তারা মনোযোগী হচ্ছে সৃজনশীল কাজে। শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর এমন দিনটির জন্য একধরনের অপেক্ষায় থাকে বলা যায়, যা তাদের চিন্তা ও মননকে শাণিত করে।
কেএসআরএমের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেট রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) কর্নেল আশফাকুল ইসলাম (অব.
জুরি বোর্ডের পক্ষে স্থপতি আসিফ মো. আহসানুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থাপন করা প্রতিটি প্রকল্প অত্যন্ত সুন্দর ও সৃষ্টিশীল মননের সমন্বয়ে গড়া। প্রকল্পগুলো এতই দৃষ্টিনন্দন, সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক যে কোনটা রেখে কোনটা নির্বাচন করব, খুবই কঠিন। তবু এই কঠিন বাস্তবতা মেনে নিয়ে আমাদের চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনজনকে নির্বাচিত করতে হয়েছে। জুরি বোর্ডের দৃষ্টিকোণ থেকে নিজ নিজ অবস্থানে প্রতিটি প্রকল্পই সেরা।
স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর স্থপতি সাকিব আহসান চৌধুরী।
‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস: বেস্ট আন্ডারগ্র্যাজুয়েট থিসিস’ কর্মসূচির আওতায় ১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সেরা গবেষণাপত্রের প্রকল্প প্রদর্শনীর মাধ্যমে জুড়ি বোর্ড অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের নাম নির্বাচন করেন। এবার ১৫ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ৪৪ গবেষণাপত্র প্রদর্শন করা হবে। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও স্থপতি ইনস্টিটিউটে এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে আজ রোববার (২৭ এপ্রিল)। চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এর মধ্যে নির্বাচিত তিন সেরা প্রকল্প উপস্থাপনকারী শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি
আরও পড়ুননেদারল্যান্ডসে স্কলারশিপ, আইইএলটিএস ৬.৫ বা টোয়েফলে ৯০ থাকলে আবেদন১১ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক এসআরএম প রকল প স থপত
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের ফুটবলের উন্নয়ন সহযোগী বিএসআরএম
হামজা চৌধুরী-শমিত শোমদের আগমনে বদলে যাচ্ছে দেশের ফুটবল। এ বদলে যাওয়া সময়ে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে একের পর এক পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকায় এবার যোগ হলো দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত ও নির্মাণসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম। প্রথমবারের মতো ১০ বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) উন্নয়ন-সহযোগী হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বুধবার বাফুফে ভবনে দুই পক্ষে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে।
চক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই খুশির সংবাদ। ১০ বছর আমরা বিএসআরএমকে ফুটবলের অংশীদার হিসেবে পেয়েছি। বাফুফেতে কখনো এত দীর্ঘ মেয়াদে কোনো অংশীদার ছিল না। বিএসআরএম স্থায়িত্ব, নিরাপত্তা ও শক্তিশালীকরণ নীতিতে বিশ্বাসী। বাফুফের সঙ্গে তাদের এই বৈশিষ্ট্য দারুণভাবে মিলে গেছে।’
ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে খুশি বিএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলীহোসাইন। তিনি জানিয়েছেন নিজেদের লক্ষ্যের কথা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএসআরএম এক নম্বর ব্র্যান্ড, ফুটবল বিশ্বের এক নম্বর খেলা। বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো করছে, সম্প্রতি ছেলেরাও উন্নতি করছে। আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে দেখতে চাই। আমাদের খেলাধুলা অনেকটা ঢাকাকেন্দ্রিক। আমরা চাই সারা দেশে ফুটবল আরও গোছালোভাবে হোক, বিকেন্দ্রীকরণ হোক, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। তাহলে সারা দেশ থেকে অনেক ফুটবলার উঠে আসবে।’
বিএসআরএমের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অর্থ পরিচালক জোহাইর তাহের, পরিচালক আব্দুল কাদির জোহাইর এবং বিটপী অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারাহ আলী।
চুক্তির আর্থিক অঙ্কের বিষয়টি প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। তবে বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম জানান, এ চুক্তির আওতায় বাফুফের কোচদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, টেকনিক্যাল কার্যক্রম, এলিট একাডেমিসহ দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে বিএসআরএম।