দেশের চলমান সংস্কার নিয়ে সবাইকে সব বিষয়ে একমত হতে হবে বলে মনে করেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সবাইকে যে একমত হতে হবে, এটা যারা চিন্তা করে, এটা তো একটা বাকশালি চিন্তা, যেটা শেখ হাসিনার পিতা করেছিলেন।’

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন আমীর খসরু। এর আগে সেখানেই বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থর নেতৃত্বে দলটির নেতারা বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু।

দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কারণ, বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দর্শন, চিন্তাভাবনা থাকবে, ভিন্নমত থাকবে। বিষয়টা হচ্ছে, যেখানে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর বাইরে সংস্কার করার সুযোগ নেই। এর বাইরে যেটা করতে যাবেন, সেটা আপনাকে “ডেমোক্রেটিক প্রসেসের” (গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া) মধ্যে আসতে হবে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হবে, জনগণের ম্যান্ডেট (সমর্থন) নিয়ে আসতে হবে।’

যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো কেন জাতির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না, এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘অলরেডি (ইতিমধ্যে) সবাই সাবমিট (জমা) করে দিয়েছে, অনেক দিন চলে গেছে, আলোচনা শেষ; এটার জন্য এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগে না, কোথায় ঐকমত্য হয়েছে। জাতিকে জানান, জাতি জানুক কোথায় ঐকমত্য হয়েছে এবং ওই ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা সনদ সই করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই, খুব সহজ ব্যাপার, এর বাইরে যাওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই।’

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ রোববার বিকেলে আন্দালিভ রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ