ডিসেম্বরের আগে অবশ্যই নির্বাচন সম্ভব: আন্দালিব রহমান পার্থ
Published: 27th, April 2025 GMT
ডিসেম্বরের আগে অবশ্যই নির্বাচন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, কালক্ষেপণ না করে এখন নির্বাচনের রোডম্যাপ জনগণের দাবি। এই সরকারের সেটাতেই মনোযোগ দেওয়া উচিত। সুনির্দিষ্ট একটা রোডম্যাপ থাকতে হবে। আমরা ধন্যবাদ জানাই, বিএনপি এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে।
আজ রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ’র নেতৃত্বে বিজেপির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বিজেপির মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মোস্তফা তামজিদ প্রমুখ। বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
পার্থ বলেন, ৭ আগস্ট থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রত্যেক জায়গায় বলে আসছি, আপনারা (সরকার) একটা নির্বাচনী রোডম্যাপ দিন। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যে সংস্কারের কথা বলছেন, সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরাও সংস্কারের পক্ষে, কিন্তু এটাও বাস্তব যে, সংস্কার আপনারা করেন। তবে বড় সংস্কার করতে হলে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া যদি সেই সংস্কার হয়, তাহলে সেই সংস্কার খুব শক্তভাবে থাকবে না। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি- আমাদের সঙ্গে একটা সনদ হতে পারে। যেগুলো সংস্কার শটকাট করে একমত হয়েছে, সেগুলো নিয়ে একটা সনদ করা যেতে পারে। সবাই স্বাক্ষর করতে পারে। তারপর এগিয়ে যেতে পারে।
বিজেপি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে গত ১৬-১৭ কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সাল থেকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এখন মানুষের যে আকাঙ্খা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান হবে। সেটা আমরা উপলদ্ধি করি। দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে একটা নির্বাচনের জন্য। আমরা এটা বিশ্বাস করি, এই অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের সরকার, এই সরকার আমাদের আন্দোলনের সরকার, এই সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সরকার। এই সরকার জনগণের সরকার, কিন্তু জনগণের দ্বারা ভোটে নির্বাচিত সরকার না। আর এই সরকারের পাশে আমরা ছিলাম, আগামীতেও আমরা থাকবো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এই সরক র র সরক র জনগণ র আম দ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
জ্বালানি অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করার অঙ্গীকার করেছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মনোনীত যুব সংসদের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা জনগণের মৌলিক অধিকার। জ্বালানি খাতে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই সংগ্রামের অঙ্গীকার। জ্বালানি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ক্যাব আয়োজিত প্রথম জ্বালানি যুব সংসদীয় অধিবেশনের শেষ দিনে আজ শনিবার এমন ঘোষণা পাঠ করে শপথ নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে শুক্রবার শুরু হওয়া দুই দিনের এ সংসদ শেষ হয় আজ।
শপথে আরও বলা হয়, জ্বালানি সংস্কার এই জ্বালানি অপরাধীদের বিচার দাবিকে জন–আন্দোলনের পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। জ্বালানি রূপান্তরে ক্যাবের ১৩ দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
যুব সংসদের শেষ অধিবেশনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের এলাকায় লোডশেডিং একটা পরিচিত শব্দ। তারা শিক্ষিত না হলেও এটা জানে। একটা অসমতা রয়ে গেছে। আবার কৃষিতে বিদ্যুতের যে দাম, মাছ চাষ বা পোলট্রি খাতে সেই দামে দেওয়া হয় না। এটা করতে হলে ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় রাজি হয়েছে। এখন বিইআরসির অনুমোদন লাগবে।
যুব সংসদের সপ্তম অধিবেশনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে টাকা লুটপাট করাই ছিল ফ্যাসিবাদের সময় মূল কাজ। গত সরকার নিজেদের পকেটে টাকা ঢোকাতে সেদিকে নজর দিয়েছে। পৃথিবীকে বাঁচাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতেই হবে। বিএনপির ৩১ দফায় স্পষ্ট করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার লুণ্ঠনের উদ্দেশ্যে জ্বালানি খাতে দায়মুক্তির আইন করেছে দাবি করে ওই আইন বিলোপের দাবি জানান রুহুল কবির রিজভী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, শুধু জ্বালানি নয়, সব খাতেই সমস্যা আছে। রাজনৈতিক নেতা যদি অসৎ হয়, অস্বাভাবিক উপায়ে নেতা হন, সবকিছু তাঁরা অস্বাভাবিক উপায়ে করেন।
যুব সংসদের শেষ অধিবেশনে দুই দিনের সংসদের সারাংশ তুলে ধরা হয়।এতে বলা হয়, এতে ১০০ ‘সংসদ সদস্য’–এর অংশগ্রহণে ১৯টি প্রবন্ধ উপস্থাপনা ছিল দুই দিনের যুব সংসদে। এক হাজার নিবন্ধিত শিক্ষার্থী নিয়ে গত এক বছরে নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই সংসদ সদস্যদের বাছাই করা হয়।
দুই দিনের যুব সংসদে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মোট আটটি অধিবেশনে জ্বালানি খাতের আলাদা আলাদা বিষয়ের ওপর বেশ কিছু নিবন্ধ তুলে ধরা হয়। এতে বিদ্যুৎ খাতের ক্যাপাসিটি চার্জ বা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ার সমালোচনা করা হয়। জ্বালানি রূপান্তরে ক্যাবের ১৩ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানান অংশগ্রহণকারীরা।
শেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হলে জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত হবে।পরবর্তী যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা এ আন্দোলনের দাবি মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।