মাগুরার সেই শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আপনাদের মতো আমিও শোকাচ্ছন্ন। কিন্তু ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে। নরপশু ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।’

রোববার রাত ১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল লেখেন, ‘জুলাই গণআন্দোলনে একজন শহীদের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পটুয়াখালীর দুমকিতে গ্রামের বাড়িতে বাবার পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে। এই গভীর বেদনাময় ঘটনা আমাদের স্তদ্ধ করেছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এর বিচার করব। এই পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বন্দি আছে (তাদের জামিনের খবরটি ভুল)। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে খোঁজ নিয়েছি। তারা অল্প কয়েকদিনের মধ্যে চার্জশিট দেবে। এরপরই বিচার শুরু হবে, সংশোধিত আইন অনুসারে বিচার শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে রায় প্রদান করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ডিএনএ স্যাম্পল অনুকূলে থাকলে এর অনেক আগেই বিচার শেষ হওয়ার কথা।’

মাগুরায় সেই শিশু ধর্ষণের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা লেখেন, ‘মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের চার্জশিট পাওয়ার পর গত বুধবার বিচার শুরু হয়েছে। ডিএনএ স্যাম্পল ও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি থাকার কারণে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলাম যে বিচারকাজ শুরু হওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হবে। আশা করি এর ব্যত্যয় হবে না।’

তিনি আরও লেখেন, ‘বিচারকাজে দু’চারদিন দেরি হলে আপনাদের কষ্ট হয়। সেটা বোধগম্য। কিন্তু বিচার যদি ঠিকমতো না হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে আপিলে গেলে রায়টা টিকবে না। এটা যদি হয়, এর চেয়ে শোচনীয় আর কিছুই হতে পারে না। আপনাদের মতো আমিও শোকাচ্ছন্ন, কিন্তু ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে। নরপশু ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ