২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
Published: 30th, April 2025 GMT
গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো.
মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।
যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।
ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসইস বরখ স ত কর মকর ত ক ল ইসল ম ব এসইস সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা-ছেলের রিমান্ড: এএসআই ক্লোজড, এসআইকে বদলি
মাদকসহ গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন (৪৯) ও তার ছেলে মানিক মিয়ার (২৯) রিমান্ডের ঘটনায় ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে রৌমারী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাবিবুর রহমানকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়েছে। একই সময় উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আওয়ালকে ঢুষমারা থানায় বদলি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটলেও গতকাল বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নন্দলাল চৌধুরী।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা যাদুরচর ইউনিয়নের আলগার চর সীমান্ত এলাকায় রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। এ সময় মাদকসহ আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলে মানিক মিয়াকে আটক করা হয়। আটকের পর থানায় নেওয়ার পথে স্বজন ও এলাকাবাসী তাদের ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় আহত হন দুই পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা করা হয়। পরে ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয় ও ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার মাদক ব্যবসায়ী বাবা ও ছেলেকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ওই দুই আসামিকে আনতে কুড়িগ্রামে পাঠানো হয় এএসআই হাবিবুর রহমানসহ দুই কনস্টেবলকে। কিন্তু আসামিদের সঙ্গে এএসআই আসেননি। ফলে দায়িত্ব অবহেলার কারণে এএসআই হাবিবুর রহমানকে ক্লোজড করা হয়। একই সময়ে বদলি করা হয় এসআই আব্দুল আওয়ালকে।
রৌমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নন্দলাল চৌধুরী বলেন, গত বৃহস্পতিবার রিমান্ডের দুই আসামিকে আনতে কুড়িগ্রামে পাঠানো হয় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাবিবুর রহমানসহ দুই কনস্টেবলকে। কিন্তু রিমান্ডের ওই দুই আসামির সঙ্গে না এসে কনস্টেবলদের মাধ্যমে তাদের থানায় পাঠিয়ে দেন এএসআই হাবিবুর রহমান। দায়িত্ব অবহেলার কারণে তাকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়েছে। আর প্রশাসনিক কারণে উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আওয়ালকে ঢুষমারা থানায় বদলি করা হয়েছে।