নব্বই দশকের সোনালি পর্দার উজ্জ্বল তারকা মৌসুমী কি সত্যিই বিদায় জানাচ্ছেন অভিনয়জীবনকে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁর অগণিত ভক্ত-অনুরাগীর মনে। দীর্ঘ দেড় বছর তিনি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে। দূরে সরে আছেন দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে। স্বামী, অভিনেতা ওমর সানী জানালেন, মৌসুমী এখন অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তায় রয়েছেন।

ওমর সানীর ভাষ্যে, ‘দুই-তিন বছর ধরে মৌসুমী বলছে, অভিনয়ে আর আগ্রহ পাচ্ছে না। ভালো গল্প পায় না, আর শুটিংয়ের সময় কাজের সঙ্গে কথার মিলও থাকে না। আমি বহুবার অনুরোধ করে তাকে অভিনয়ে ফিরিয়েছি। কিন্তু এবার সে বেশ দৃঢ় নিজের সিদ্ধান্তে।’

তারকা দম্পতি মৌসুমী ও ওমর সানী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওমর স ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে দস্যুদের কবল থেকে ৪ জেলে উদ্ধার

সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর হাতে জিম্মি চার জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। আজ শুক্রবার ভোরে সুন্দরবনের শিবসা নদীসংলগ্ন আড়বাউনি খালে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় দস্যুদের আস্তানা থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন খুলনার কয়রা উপজেলার মফিজুল ইসলাম (৪২), হাবিবুর রহমান (৩৭), দাকোপ উপজেলার মো. হাবিবুর (৩৫) এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শাহজাহান গাজী (৪০)। কোস্টগার্ড জানায়, তাঁদের ১০ দিন ধরে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়েছে দস্যুরা।

আজ শুক্রবার সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই স্থানে কয়েকজন জেলেকে জিম্মি করে রেখেছিল জাহাঙ্গীর বাহিনী। অভিযানের সময় ডাকাত দলটিকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে কোস্টগার্ড। পরে দস্যুরা নৌকা ও জিম্মিদের ফেলে বনের ভেতরে পালিয়ে যায়। নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি একনলা বন্দুক, দুটি এয়ারগান ও তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। নৌকাটি থেকে চার জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুনদস্যুতায় ফিরছে আত্মসমর্পণকারীরা, ‘দুলাভাই বাহিনী’সহ ১৪ দল সক্রিয় ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৮ জন দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৩১টি গুলি।

সার্বিক বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার আবরার হাসান বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে নিয়মিত অপারেশন, হটস্পট এলাকায় বিশেষ টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনপাচারকারীসহ আরও কিছু কারণে হুমকির মুখে সুন্দরবনের বাঘ২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ