নব্বই দশকের সোনালি পর্দার উজ্জ্বল তারকা মৌসুমী কি সত্যিই বিদায় জানাচ্ছেন অভিনয়জীবনকে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁর অগণিত ভক্ত-অনুরাগীর মনে। দীর্ঘ দেড় বছর তিনি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে। দূরে সরে আছেন দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে। স্বামী, অভিনেতা ওমর সানী জানালেন, মৌসুমী এখন অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তায় রয়েছেন।

ওমর সানীর ভাষ্যে, ‘দুই-তিন বছর ধরে মৌসুমী বলছে, অভিনয়ে আর আগ্রহ পাচ্ছে না। ভালো গল্প পায় না, আর শুটিংয়ের সময় কাজের সঙ্গে কথার মিলও থাকে না। আমি বহুবার অনুরোধ করে তাকে অভিনয়ে ফিরিয়েছি। কিন্তু এবার সে বেশ দৃঢ় নিজের সিদ্ধান্তে।’

তারকা দম্পতি মৌসুমী ও ওমর সানী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওমর স ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্রোতে কচুরিপানার চাপে ভেসে গেল সাঁকো

মির্জাপুর উপজেলা সদরের কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাটে লৌহজং নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাঁকো জোয়ারের পানির স্রোত আর কচুরিপানার চাপে ভেঙে গেছে। এতে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৩৫ গ্রামের মানুষের সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এজন্য প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে তাদের হাসপাতালে আসতে হচ্ছে। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে এই ভোগান্তি চলছে। 
কয়েকদিন ধরেই লৌহজং নদীতে জোয়ারের কারণে পানি বাড়ছে। কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাটে নদীতে প্রচুর কচুরিপানা জন্মেছে। শনিবার সন্ধ্যায় জোয়ারের পানি বাড়ার ফলে কচুরিপানার চাপে ওই ঘাটে থাকা সাঁকোটি ভেসে যায়। এবারই প্রথম নয়, প্রতিবছর এই সময়ে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে ভোগান্তির শিকার হয় নদীর দুই পারের মানুষ। এর পরও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই সাঁকো দিয়ে পৌর এলাকার সাহাপাড়া, সরিষাদাইড়, আন্ধরা ছাড়াও মির্জাপুরের দক্ষিণাঞ্চলের ভাওড়া, বহুরিয়া, উয়ার্শী ইউনিয়নের অন্তত ৩৫ গ্রামের লোকজন নদী পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। কুমুদিনী হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং স্কুল ও কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই নদীর দক্ষিণ পারে থাকেন। তারাও এই সাঁকো ব্যবহার করেন। এ ছাড়া সাঁকো দিয়ে অনেকে মোটরসাইকেলে ঢাকার ধামরাই, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। কিন্তু সাঁকোটি হঠাৎ ভেঙে যাওয়ায় তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পারাপারের জন্য কোনো নৌকার ব্যবস্থাও করা হয়নি।
এদিকে নদীর ওই ঘাট জেলা পরিষদ থেকে প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। অজ্ঞাত কারণে সেখানে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে সেতু নির্মাণ করা হয়নি। প্রতিবছর ওই স্থানে নদীর পানি বাড়লে সাঁকো ভেঙে দুই পারের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আন্ধরা গ্রামের শেখ আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, মির্জাপুরের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুঃখ কুমুদিনী খেয়াঘাট। এই দুঃখ দূর করতে কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
মির্জাপুর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের ভাষ্য, সোমবার উপজেলা পরিষদের সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ