মাগুরার আলোচিত ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ষষ্ঠ দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদিন চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

এদিন মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সজীবের (তার ছেলে) স্ত্রী হামিদার সঙ্গে আকাশ নামে এক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। ওই জেরে এ হত্যাকাণ্ড। তাদের ধরেন; তাহলে সব সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ সময় তিনি মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন।

যদিও হিটু শেখ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেওয়ার সময় এ ঘটনার সঙ্গে তিনি একাই জড়িত বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, সোমবার চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো.

আলাউদ্দিন, হিটুর শেখের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়, ঢাকার গুলশান থানার এসআই আনজু মনোয়ারা, মাগুরার রেকর্ড অফিসার মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী।

আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া সবাই ধর্ষণের ফলে আছিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে সাক্ষ্য দেন। সোমবারসহ গত ৬ কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্যগ্রহণ চলেছে। এনিয়ে মোট ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। মঙ্গলবার ফরেনসিক বিভাগের দুইজন চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ৮ বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা সিমএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ শিশুটি মারা যায়।

এ ঘটনায় শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, ভগ্নীপতি সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও হিটু শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগমের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে ও আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চার আসামির সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক প্রধান আসামী হিটু শেখকে ৭ দিন ও অপর তিন আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড প্রদান করেন। রিমান্ডে প্রধান আসামি হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জন র স ক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে শ্রমিক হত্যার চেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগ

বন্দরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সালাউদ্দিন (৩৮) নামে এক স্ট্রিল মিলের শ্রমিককে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শ্রমিক বাদী হয়ে হামলাকারি মা ও সন্ত্রাসী ছেলের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।  এর আগে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মালামত এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মালামত এলাকার জজ মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন মিয়া তার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি সাড়ে ৮ শতাংশ বসত বাড়ি প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখলে রয়েছে।

এ নিয়ে একই এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার  স্ত্রী তারেই খালা হালিমা বেগম ও তার সন্ত্রাসী ছেলে মহিউদ্দিনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।

এর ধারাবাহিকতা বুধবার দুপুর ১টায় পাষান্ড খালা হালিমা বেগম হুকুমে তার সন্ত্রাসী ছেলে মহিউদ্দিনসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সালাউদ্দিন বসত বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে সালাউদ্দিনকে হত্যার চেষ্টা চালায়।

ওই সময় সালাউদ্দিন মিয়ার বড় খালা ফাতেমা বেগম  বাধা দিলে সন্ত্রাসী ভাগ্নিা মহিউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধা ফাতেমা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্য বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে নিলাফুলা জখম করে পালিয়ে যায়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ