টেকসই উন্নয়নে সব খাতে ন্যায্য রূপান্তরের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
Published: 6th, May 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের সঠিক মানদণ্ড নিশ্চিত না হলে ন্যায্য রূপান্তর সম্ভব নয়, বরং ‘গ্রীনওয়াশিং’ প্রবণতা বাড়ে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বিআইসিসিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত বাংলাদেশ জাস্ট ট্রানজিশন একাডেমি: সবুজ অর্থনীতিতে সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ কাজ শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, টেকসই পরিবর্তন কেবল জ্বালানি খাতে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; কৃষি, উৎপাদন ও টেক্সটাইলসহ প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা দরকার।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, পোড়ানো ইটের বিকল্প নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও, এটি এখনো কাঠামোগত পরিবর্তন অর্জন করেনি। উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। পরিবেশ অধিদপ্তর শুধু প্রকল্প অনুমোদনের কাজ করছে—এ ধারণা বদলানো প্রয়োজন। উন্নয়ন যেন পরিবেশের বিরুদ্ধে না যায়, সে বিষয়ে নীতিগত সমন্বয় প্রয়োজন।
উপদেষ্টা বলেন, ভবনগুলোতে শুধু ‘সবুজ সনদ’ যথেষ্ট নয়, বরং দেখতে হবে—ওই ভবনগুলো নারীবান্ধব কিনা, শ্রমিকদের বিশ্রাম নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা, পানি পুনঃব্যবহার ও টেকসই জ্বালানি ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা। বিদ্যুৎ অপচয় রোধে সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। একদিকে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই, অন্যদিকে আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে বিদ্যুৎ অপচয় করি—এটি নীতির পাশাপাশি মূল্যবোধের বিষয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন- সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত ও এনজিও একযোগে কাজ করলে টেকসই পদ্ধতিগুলো নীতিমালায় প্রতিফলিত হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট র জওয ন হ স ন পর ব শ ট কসই
এছাড়াও পড়ুন:
টয়লেট পেপার নিতে হলে দেখতে হবে বিজ্ঞাপন
চীনের কিছু পাবলিক টয়লেটে সম্প্রতি একটি নতুন নিয়ম শুরু হয়েছে। এতে বিনা পয়সায় টয়লেট পেপার পেতে ব্যবহারকারীদের প্রথমে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে এবং একটি সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞাপন দেখতে হবে।
বিজ্ঞাপন এড়িয়ে টয়লেট পেপার নিতে চাইলে দিতে হবে দশমিক ৫ রেনমিনবি (বাংলাদেশি টাকায় ৫-৬ টাকা)। এই নিয়ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, অপচয় কমাতে এই উদ্যোগ।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, টয়লেট পেপার পেতে কেউ কেউ কিউআর কোড স্ক্যান করে বিজ্ঞাপন দেখছেন এবং ব্যবহারের জন্য টয়লেট পেপার নিচ্ছেন। বেশি টয়লেট পেপার নিতে হলে অর্থ গুনতে হচ্ছে। তাড়াহুড়ো থাকায় অনেকে কিউআর কোড স্ক্যান করা ও বিজ্ঞাপন বাদ দিয়ে সরাসরি অর্থ দিয়ে টয়লেট পেপার কিনছেন।
সমালোচকেরা বলছেন, ধারণাগত ও প্রায়োগিক দিক থেকে এই নিয়মে সমস্যা আছে। কারণ, সবার সব সময় মুঠোফোন সঙ্গে না–ও থাকতে পারে। মুঠোফোন সঙ্গে থাকলেও তাতে চার্জ না থাকতে পারে। পাসওয়ার্ডে সমস্যা হতে পারে। ইন্টারনেট কাজ না করতে পারে। অথবা অতিরিক্ত পেপার দরকার হলে কেনার মতো অর্থ না–ও থাকতে পারে। তবে অনেকে বলছেন, এতে অপচয় কমানো গেলে নিয়মটি খারাপ নয়।
উদ্বিগ্ন নাগরিকদের মতে, পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে এমন নিয়ম থাকা একদম উচিত নয়। এসব নাগরিকের জন্য বিনা শর্তে উন্মুক্ত থাকতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও কোন সময়ে ধারণা করা এবং এটি চীনের কোন শহরের, তা জানা যায়নি। তবে ভিডিওটি এক্সসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনে পাবলিক টয়লেট নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। ২০১৭ সালে বেইজিংয়ের টেম্পল অব হেভেন পার্কে একটা নিয়ম চালু করা হয়েছিল। এতে চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টয়লেট পেপার পাওয়া যেত। ৯ মিনিটের আগে একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার টয়লেট পেপার নিতে পারতেন না।
চীনে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার নিয়ে আরেকটি ঘটনাও বেশ সমালোচনা জন্ম দিয়েছিল। দেশটির একটি প্রতিষ্ঠান তাঁদের কর্মীদের জন্য বাথরুম ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এক দিনে কয়বার টয়লেটে যাওয়া যাবে, তা–ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরে সমালোচনার মুখে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।