রেললাইনে ফাটল, স্ত্রীর লাল ওড়না উড়িয়ে ট্রেন থামালেন মজিবুর
Published: 8th, May 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক বাসিন্দার তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসিকতার কারণে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে শ্রীপুর উপজেলার বালিয়াপাড়া এলাকায় রেললাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে স্ত্রীর লাল ওড়না দিয়ে সংকেত দেখিয়ে ট্রেন থামান মজিবুর রহমান (৫০)। এতে বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন ও ট্রেনের যাত্রীরা দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রীপুর-কাওরাইদ রেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে গোলাঘাট জিরাতি বাড়ি মোড় এলাকায় রেললাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান মজিবুর রহমান। ট্রেনের আসার শব্দ শুনে তাৎক্ষণিকভাবে স্ত্রীর লাল ওড়না নিয়ে লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে চালককে সংকেত দিতে থাকেন তিনি। সংকেত পেয়ে চালক ট্রেনটি নিরাপদে থামিয়ে দেন।
সাহসী এই তাৎক্ষণিক উদ্যোগের জন্য মজিবুর রহমান স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন।
বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছিল ঢাকা থেকে জাজিরাগামী, যা ওই সময় শ্রীপুর স্টেশন পার হয়ে কাওরাইদ স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন থেকে রেলওয়ে কর্মী সোহেল রানা এসে ফাটল পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান করেন। এর পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মজিবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, “স্থানীয়দের চিৎকার শুনে দৌড়ে যাই। দেখি রেললাইনে বড় ফাটল। ট্রেনের আওয়াজ শুনে বুঝি, সময় খুব কম। স্ত্রীর লাল ওড়না নিয়ে সংকেত দিই। চালক ধীরে ধীরে ট্রেন থামান। আল্লাহর রহমতে বড় বিপদ থেকে বাঁচা গেছে।”
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো.
রেলওয়ে সূত্র জানায়, মাঝে মাঝে রেললাইনে ফাটল দেখা দিতে পারে। সেগুলো সময়মতো না ধরতে পারলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। বালিয়াপাড়ার এই ফাটল ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলেও স্বীকার করেন রেল কর্মকর্তারা।
ঢাকা/রফিক/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন র লওয
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় মজুদকৃত ৩৭৫ বস্তা সার জব্দ, জরিমানা
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় অবৈধভাবে সার মজুদ ও ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিক্রি না করার দায়ে দুই খুচরা বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চুকনগর বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়।
ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় অবৈধভাবে মজুদ করা বিভিন্ন ধরনের ৩৭৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চুকনগর বাজারের যতিন কাশেম রোডের বাদামতলা মোড় এলাকায় মেসার্স জালাল ট্রেডার্সে অবৈধভাবে সার মজুদ রাখার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক জাহিদুল ইসলাম মোড়লকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তার দোকান থেকে ২৮০ বস্তা ইউরিয়া, ৪৬ বস্তা টিএসপি, ২০ বস্তা ডিএপি ও ২৯ বস্তা এমওপি মজুদকৃত সার জব্দ করা হয়।
আরো পড়ুন:
শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনের কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে টিকটক, যুবকের কারাদণ্ড
এছাড়া কৃষকের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি না করা ও স্টক রেজিস্ট্রার ব্যবহার না করায় মালতিলা এলাকায় মেসার্স সুকর্ণ ট্রেডার্সের মালিক সুকর্ণ কুমার ঘোষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী জানান, সার মজুদ করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করায় সার ব্যবস্থাপনা আইনে জাহিদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৭৫ বস্তা বিভিন্ন মজুদ করা সার জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, কৃষকদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি না করার অপরাধে ব্যবসায়ী সুকর্ণ কুমারকে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী কমিশনার। তিনি জানান, জব্দকৃত সার চুকনগর বাজার কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
অভিযানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন, আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, চুকনগর বাজার কমিটির সভাপতি শাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সরদার বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল