২০১৪  থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জালিয়াতিপূর্ণ, ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটার বিহীন দাবি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক ৩ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে মামলাটির আবেদন করেন।

মামলায় বাদি পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীর। তাকে সহায়তা করেন আরও কয়েকজন আইনজীবী।

সেই সাথে আদালত এই মর্মে মামলা হয়েছে কিনা সংশ্লিষ্ট থানাকে তলব করে আগামী ৩ জুন শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও কামরুল ইসলাম, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদ, কেএম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল আশিক উল হককে আসামী করা হয়েছে। মামলায় সাক্ষী দেখানো হয়েছে ৯জনকে।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জালিয়াতি করে বিনা ভোটের মাধ্যমে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করে। অনিয়ম ও কারচুপির ঐসব নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার ছিল না এবং বাংলাদেশকে অন্য রাষ্ট্রের কাছে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করতে ঐসব নির্বাচনের আয়োজন করে একটি পক্ষকে একতরফা ভাবে জয়ী করার ব্যবস্থা করা হয়। যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।  

বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়া বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ হয়ে ষড়যন্ত্র করে ভোটারবিহীন ড্যামি নির্বাচন করেছেন আসামিরা। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছি। আদালত এই মর্মে মামলা হয়েছে কিনা এ বিষয়টি জানার সংশ্লিষ্ট থানাকে তলব করেছেন। সেই সাথে আগামী ৩ জুন শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

রিট খারিজ, জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান বহাল

নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত এমন বিধানের বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

এর আগে নতুন ওই বিধান যুক্ত করে গত ৩ নভেম্বর আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। আগে কোনো রাজনৈতিক দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে জোটের শরিক যেকোনো দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেত। ওই বিধানসংবলিত অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন গত ৩০ নভেম্বর ওই রিটটি করেন।

রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব প্রথম আলোকে বলেন, শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ অর্থাৎ রিট খারিজ করে দিয়েছেন। এতে করে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদ বহাল থাকল। ফলে নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে।

রিট আবেদনকারীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আলোচনা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশের ওই বিধানসংবলিত ৯ অনুচ্ছেদ সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের (২৮, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদ) সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। আইনসচিবসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে আজ রুল ডিসচার্জ (খারিজ) দেন আদালত।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও রাশনা ইমাম, সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রেশাদ ইমাম ও আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী উপস্থিত ছিলেন।

এ মামলায় বিবাদী হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পক্ষভুক্ত হয়। এনসিপির পক্ষে আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষে আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, জোট করলেও দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরে। তবে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি এই সংশোধনের পক্ষে। জোট করলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে—শেষ পর্যন্ত এমন বিধান যুক্ত করেই ৩ নভেম্বর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

আরও পড়ুনজোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান প্রশ্নে রুল০১ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: সালাহউদ্দিন 
  • ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে দলগুলোর সাড়া
  • জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
  • ইবিতে হাদি হামলায় মহাসড়ক অবরোধ
  • নির্বাচন না হওয়ার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে: আমীর খসরু
  • ষড়যন্ত্র রুখতে পারে গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস: তারেক
  • বিপিএলে ফিক্সিং: অভিযুক্তদের বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে
  • মানিকগঞ্জ শহরে ককটেল বিস্ফোরণ
  • যে সরকার মামলা প্রত্যাহার করেছে, তাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছি, এটা অবিশ্বাস্য: আদালতে শওকত মাহমুদ
  • রিট খারিজ, জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান বহাল