দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৪ থেকে ৮ মে) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর সাপ্তাহিক দাম কমার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।

শনিবার (১০ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের দাম কমেছে ১৩.

৯৫ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে কোম্পিানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ১২.৯০ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহ শেষে এ কোম্পানির শেয়ারের সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১.১০ টাকা। এর ফলে কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর সাপ্তাহিক দাম কমার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।

আরো পড়ুন:

ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

আগের দিনের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের ১৩.৫০ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইলের ১২.৬৯ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ১১.৩৬ শতাংশ, বসুন্ধরা পেপার মিলসের ১১.২৭ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ১১.২৪ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ১০.৯৬ শতাংশ, ন্যাশনাল টির ১০.৬৭ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ১০.৫৫ শতাংশ এবং এসকে ট্রিমসের ১০.৪৩ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ত হ ক দ ম কম র

এছাড়াও পড়ুন:

বড় পতনের পরদিন উত্থান

আগের দিনের বড় দরপতনের পর গতকাল একই ধারায় শেয়ারাবাজারে উত্থান হয়েছে। বুধবার দেড়শ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ হারানোর পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১০০ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ ফিরে পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। আগের দিনের পতন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থার কারণে আতঙ্ক থেকে হতে পারে বলে বাজারসংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেছিলেন। 
বুধবারের বড় দর পতনের পর গতকাল দিনের লেনদেনের শুরু হয় বিপরীত ধারায়। সকাল ১০টায় দিনের লেনদেন শুরুর মূহূর্তে প্রি-মার্কেট লেনদেনে ভর করে ৭ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসইএক্স সূচক ৪৮০৯ পয়েন্টে ওঠে। প্রথম আধা ঘণ্টায় আরও ৭০ পয়েন্ট বাড়ে ৪৮৮০ পয়েন্ট ছাড়ায়। এর পর উত্থান কিছুটা বিঘ্নিত হলেও ১৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। পরে লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত শেয়ারদর ও সূচক বেড়েছে। সোয়া ২টায় আগের দিনের থেকে ১০৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯০৯ পয়েন্ট ছাড়ায়। শেষ পর্যন্ত ১০০ পয়েন্ট বেড়ে সূচক দাঁড়ায় ৪৯০২ পয়েন্টে। 
ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৫৬টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩৯টির, কমেছে ১০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭টির। ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত দর বেড়েছে ১৭০ শেয়ারের। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে কেনাবেচা হওয়া ৩৬টির সবগুলোর গড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ দর বেড়েছে। দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতেও লেনদেন চিত্র ছিল প্রায় একই রকম। 

আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রির পর দ্রুত বিনিয়োগকারীদের বোধোদয় হওয়াকে আপাতত স্বস্তি হিসেবে দেখছেন ব্রোকারেজ হাউস সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, না বুঝে আতঙ্কিত হলে শুধু নিজের সাময়িক ক্ষতি হয় না, এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদেও ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ে। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা জানান, বুধবার অল্প কিছু বিনিয়োগকারীর অল্প কিছু শেয়ার কম দামে বিক্রি করাতেই দর পতনের ধারা গভীর হয়। কেন শেয়ার দর হারাচ্ছে, তা বুঝতে না পেরে অনেকে বিনিয়োগে বিরত থাকেন। যারা শেয়ার কেনার আদেশ দিয়েছিলেন, তারাও ক্রয় আদেশ তুলে নেন। এতে দর পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল। গতকাল ছিল এর বিপরীত অবস্থা।

যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, কারণবিহীন ইস্যুতে অস্থিরতার ঘটনা দেশের শেয়ারবাজারে নতুন কিছু নয়। বুধবারের দর পতনের পর বৃহস্পতিবারের দর বৃদ্ধির কোনো ব্যাখ্যা করা যায় না। কেউ একজন অযথা আতঙ্কিত হয়ে কিছু শেয়ার কম দামে বিক্রি করলে তার ক্ষতি হয়তো অল্পই থাকে; কিন্তু বাকিদের ক্ষতি যোগ করলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় বিশাল। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ারবাজারেরও ক্ষতি হয়।

গতকালের খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা এবং বস্ত্র খাতের গড় শেয়ারদর ৩ শতাংশের ওপর বেড়েছে। বড় খাতের ব্যাংক খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ২ শতাংশ। অপেক্ষাকৃত ছোট খাতের মধ্যে সেবা ও নির্মাণ, কাগজ ও ছাপাখানা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং সিরামিক খাতের দর ৪ শতাংশের ওপর বেড়েছে। শেয়ারদর কিছুটা পুনরুদ্ধারের দিনে কেনাবেচা হয়েছে ৩৬৬ কোটি টাকার শেয়ার, যা বুধবারের তুলনায় দেড়শ কোটি টাকা কম। একক কোম্পানি হিসেবে বিচ্‌ হ্যাচারির সর্বোচ্চ ২৩ কোটি টাকার এবং একক খাত হিসেবে ব্যাংক খাতের সর্বোচ্চ ৮৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে বারাকা পতেঙ্গা
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা
  • ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে
  • বড় পতনের পরদিন উত্থান
  • আগের দিনের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার
  • বিএসইসির কাজ আইনের শাসন নিশ্চিত করা, মধ্যস্থতা নয়: আনিসুজ্জামান