ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরবিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষক রইচ উদ্দিন শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দিবাগত রাতে সদরপুরের পার্শ্ববর্তী চরভদ্রাসন থানা এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রইচ উদ্দিন ওই বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক।

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক রইচ উদ্দিন গত ২৯ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। ঘটনাটি গত ৮ মে জানাজানি হলে স্থানীয় ও অভিভাবক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের দ্রুত অপসারণসহ শাস্তির দাবি জানান। ওইদিন সদরপুর থানায় রইচ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী। খবর পেয়ে গা-ঢাকা দেন ওই শিক্ষক। পরে শুক্রবার রাতে রইচ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। 

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, রইচ উদ্দিনকে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সদরপ র সদরপ র

এছাড়াও পড়ুন:

সিকৃবিতে ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে পোকার লার্ভা

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে পোকার লার্ভা পাওয়ার অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী। তিনি এক পিছ মাছের তরকারিতে অন্তত ৩০-৪০টি পোকার লার্ভা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার খেতে গিয়ে পাঙ্গাস মাছের তরকারিতে বড় আকারের পোকা (লার্ভা) দেখতে পান ওই শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ইমরান মিয়া খাবারে পোকা দেখতে পেয়ে তার ছবি তোলেন এবং সাংবাদিকদের দেখান। ছবিতে দেখা যায়, মাছের বিভিন্ন অংশে বড় আকারের পোকার লার্ভা (ম্যাগট) গিজগিজ করছে।

আরো পড়ুন:

বেরোবিতে আইইএলটিএস কোর্স চালু

চবিসাসের নেতৃত্বে জানে আলম-মাহফুজ

ক্যাফেটেরিয়ার অব্যবস্থাপনা ও খাবারের দাম নিয়ে যখন শিক্ষার্থীদের একের পর এক অভিযোগ, তখনই খাবারে পোকার লার্ভা পাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ইমরান মিয়া বলেন, “দুপুর খাবারের জন্য ক্যাফেটেরিয়া থেকে মাছ কিনেছিলাম। মাছটি হয়তো অনেক আগের এবং পঁচা ছিল। অর্ধেক খাবার খাওয়ার পর মাথার মুল অংশ ভাঙতেই প্রায় ৩০-৪০টি পোকার লার্ভা বের হয়ে আসে৷ এ রকম অবস্থা দেখে বমি করতে করতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।”

এর আগেও শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটেরিয়ার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নিম্নমানের খাবার নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। বিভিন্ন সময় স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও সিকৃবি প্রশাসন ক্যাফেটেরিয়ার সার্বিক মান বৃদ্ধিতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ওয়াদুদ বলেন, “ক্যান্টিনের খাবারে লার্ভা পাওয়া গেছে, যা স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশনের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে ক্যান্টিনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং খাদ্য প্রস্তুত প্রণালী নিয়মিত পরিদর্শন করা। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। প্রশাসনকে বিষয়গুলো বারবার অবহিত করার পরও জরুরিভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

এ বিষয়ে সিকৃবির কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক নুরে আলম শাহীন বলেন, “মাছ পঁচা ছিল, এমন না। বাবুর্চির অবহেলার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। আমি বাবুর্চিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্যাফেটেরিয়ার ভাত বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ