ফাঁদে পা না দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেরিফাইড ফেসবুকে পেইজে এক স্ট্যাটাসে এই আহ্বান জানান তিনি। স্ট্যাটাসে ছাত্র-জনতার তিন দফা দাবি জানানো হয়।

তাদের দাবিসমূহ হলো-

১.

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। 
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।
৩. জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।

এই তিন দফার একটি বাকি থাকতেও ছাত্র-জনতা রাস্তা থেকে উঠবে না বলে স্ট্যাটাসে জানানো হয়। কোনো ষড়যন্ত্র কাজ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এর আগে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) না পাওয়ায় ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। শাহবাগের গণজমায়েত থেকে রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আদায়ের সম্ভাবনা না থাকা ঋণের আংশিক অবলোপনের অনুমতি 

দেশের ব্যাংকিং খাতে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি খেলাপি ঋণ। এর সঙ্গে রয়েছে আদায়ের সম্ভাবনা না থাকা মন্দঋণও। এসব ঋণের চাপ কমাতে প্রথমবারের মতো আংশিক ঋণ অবলোপনের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) জারি করা নতুন নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, যেসব মন্দ ও ক্ষতিগ্রস্ত ঋণের পুরোটা আদায়যোগ্য নয়-সে ঋণের জামানতবিহীন ও আদায়-অযোগ্য অংশ আংশিকভাবে অবলোপন করা যাবে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সার্কুলারটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরো পড়ুন:

তফসিলি ব্যাংকের তালিকায় ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’, লাইসেন্স হস্তান্তর

চূড়ান্ত লাইসেন্স পেল ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, অনাদায়ী ঋণের একটি বড় অংশ স্থিতিপত্রে বহাল থাকায় ব্যাংকের প্রকৃত আর্থিক অবস্থার প্রতিফলন বিকৃত হচ্ছিল। আংশিক অবলোপন চালুর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো এখন স্থিতিপত্র থেকে অযোগ্য অংশ সরিয়ে আসল ঝুঁকির মাত্রা প্রকাশ, আর বাকি অংশ আদায়ে অধিক গুরুত্ব দিতে পারবে।

নতুন নীতিমালায় প্রথমে সুদের অংশ অবলোপন, অনারোপিত সুদের আলাদা হিসাবায়ন, প্রয়োজন হলে জামানতের বাজারমূল্য পুনর্মূল্যায়ন এবং গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ আগে অবলোপনকৃত অংশে সমন্বয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঋণ আদায়ে নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, গ্রাহক জামানত ছাড়া যে টাকা পরিশোধ করবে, তা আগে অবলোপনকৃত অংশের বিপরীতে সমন্বয় হবে। এই টাকায় সেই পাওনা পুরোপুরি সমন্বয় হয়ে গেলে বাকি অর্থ যাবে স্থিতিপত্রে থাকা বকেয়া ঋণ কমাতে।

তবে গ্রাহকের মোট বকেয়া নির্ধারণের সময় ব্যাংককে তিনটি দিক একসঙ্গে বিবেচনা করতে হবে-স্থিতিপত্রে প্রদর্শিত বকেয়া ঋণের পরিমাণ, তার অনারোপিত সুদ এবং অবলোপনকৃত কিন্তু অনাদায়ী অংশের পাওনা। এছাড়া আংশিক অবলোপন করার পরও সংশ্লিষ্ট ঋণহিসাবকে পুনঃতফসিল বা এক্সিট সুবিধা দেওয়া যাবে, যাতে বাকি অংশ আদায় করা সহজ হয়। আগে যে নিয়মে কোনো ঋণ আংশিকভাবে অবলোপন করা যেত না-সেই বাধা থাকা সংশ্লিষ্ট বিআরপিডি সার্কুলার বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি আশা করছে, এই নীতিমালা কার্যকর হলে অনাদায়ী ঋণের অকারণে স্ফীত হিসাব কমবে, ব্যাংকের স্থিতিপত্র স্বচ্ছ হবে এবং খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনা আরো শক্তিশালী হবে। নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ