ফাঁদে পা না দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেরিফাইড ফেসবুকে পেইজে এক স্ট্যাটাসে এই আহ্বান জানান তিনি। স্ট্যাটাসে ছাত্র-জনতার তিন দফা দাবি জানানো হয়।

তাদের দাবিসমূহ হলো-

১.

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। 
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।
৩. জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।

এই তিন দফার একটি বাকি থাকতেও ছাত্র-জনতা রাস্তা থেকে উঠবে না বলে স্ট্যাটাসে জানানো হয়। কোনো ষড়যন্ত্র কাজ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এর আগে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) না পাওয়ায় ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। শাহবাগের গণজমায়েত থেকে রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অসুস্থ ছেলেকে দেখতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন বাবা, দুই বাসের পাল্লাপাল্লিতে নিহত

রাজধানীর বকশীবাজারে দুটি বাসের পাল্লাপাল্লির সময় মাঝে চাপা পড়ে জহুরুল হক সেলিম (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। 

সেলিম তার ক্যানসারে আক্রান্ত ছেলেকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, নিহত সেলিম পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাসিন্দা। তার দুই ছেলের মধ্যে জুবায়ের ব্ল্যাড ক্যানসারে আক্রান্ত।

জানা গেছে, আট থেকে নয় মাস আগে জুবায়েরের ক্যানসার ধরা পড়ে। সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। ছেলের চিকিৎসার জন্য সেলিম ঢাকা মেডিকেলের পাশে বকশীবাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।

এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেলিমের স্ত্রীর বোন সিনথিয়া বেগম। তিনি বলেন, সেলিম মঙ্গলবার রাতে ছেলেকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে তিনি বকশীবাজার মোড় ও বুয়েটের মাঝামাঝি সড়ক পার হচ্ছিলেন। সে সময় দুটি বাসের পাল্লাপাল্লির মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর ডান হাতে প্লাস্টার করে দেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

চকবাজার থানার ওসি সৈয়দ আখতারুজ্জামান সমকালকে বলেন, মৌমিতা পরিবহনের দুই বাসের পাল্লাপাল্লির সময় মাঝে চাপা পড়ে এক পথচারী মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় দুই বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে তোলা হয়েছে।

তিনি আর বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ