ফাঁদে পা না দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেরিফাইড ফেসবুকে পেইজে এক স্ট্যাটাসে এই আহ্বান জানান তিনি। স্ট্যাটাসে ছাত্র-জনতার তিন দফা দাবি জানানো হয়।

তাদের দাবিসমূহ হলো-

১.

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। 
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।
৩. জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।

এই তিন দফার একটি বাকি থাকতেও ছাত্র-জনতা রাস্তা থেকে উঠবে না বলে স্ট্যাটাসে জানানো হয়। কোনো ষড়যন্ত্র কাজ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এর আগে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) না পাওয়ায় ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। শাহবাগের গণজমায়েত থেকে রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হত্যার অভিযোগ: দাফনের ২ মাস পর প্রবাসীর লাশ উত্তোলন 

লক্ষ্মীপুরে দাফনের দুই মাস পর মহসিন কবির নামের এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। 

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মতলবপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।

প্রবাসী মহসিন কবিরকে সৌদি আরবে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলা তদন্তের জন্য তার লাশ উত্তোলন করা হলো। ময়নাতদন্তের জন্য তা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 

মহসিন কবির পার্বতীনগর ইউনিয়নের মতলবপুর গ্রামের মাওলানা মো. নুরুল্লাহর ছেলে। 

পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মহসিন একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরির উদ্দেশ্যে ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর সৌদি আরবে যান। সেখানে তার মালিক মোরশেদ আলমের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের দ্বন্দ্ব চলে। এরমধ্যেই চলতি বছরের ১৭ আগস্ট মহসিন সেখানে অপহরণের শিকার হন। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বন্ধ ছিল। কয়েকদিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর মরদেহ দেশে আসে। মরদেহ গ্রহণের সময়ই পরিবারের সদস্যরা সন্দেহ করেন, মহসিনের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের। ২২ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী রওশন আক্তার বাদী হয়ে মোরশেদ আলমসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। 

অভিযুক্ত মোরশেদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হাসন্দি এলাকার মৃত সিরাজ উল্যার ছেলে। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন—মোরশেদের স্ত্রী রোকসানা আক্তার, আত্মীয় মো. হাছিব এবং মো. রায়হান। তারা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। 

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অভি দাশ বলেছেন, তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মহসিনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফের দাফন করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/লিটন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ