ফাঁদে পা না দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেরিফাইড ফেসবুকে পেইজে এক স্ট্যাটাসে এই আহ্বান জানান তিনি। স্ট্যাটাসে ছাত্র-জনতার তিন দফা দাবি জানানো হয়।

তাদের দাবিসমূহ হলো-

১.

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। 
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।
৩. জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।

এই তিন দফার একটি বাকি থাকতেও ছাত্র-জনতা রাস্তা থেকে উঠবে না বলে স্ট্যাটাসে জানানো হয়। কোনো ষড়যন্ত্র কাজ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এর আগে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) না পাওয়ায় ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। শাহবাগের গণজমায়েত থেকে রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

২৫০ প্রজাতির বন্য প্রাণী হত্যা এখন জামিন অযোগ্য অপরাধ

এত দিন শুধু বাঘ ও হাতি হত্যার অপরাধে কেউ গ্রেপ্তার হলে জামিন পেতেন না, এখন আরও ২৪৮টি বন্য প্রাণী হত্যার অপরাধও হবে জামিন অযোগ্য।

হুমকির মুখে থাকা দেশের বন্য প্রাণী সুরক্ষার আইনে এই পরিবর্তন আসছে। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা অধ্যাদেশ’ অনুমোদন পায়।

নতুন আইনে সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ প্রজাতির বন্য প্রাণীকে। এ অধ্যাদেশে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল টিকিয়ে রাখতে অনুকূল এমন ১০০ প্রজাতির গাছকেও সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

সন্দেহজনক বন অপরাধীদের পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতাও পাচ্ছে বন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বন্য প্রাণী সুরক্ষা ও কল্যাণে একটি ওয়াল্ডলাইফ ট্রাস্ট গঠনের বিধানও রাখা হয়েছে।

‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২’ এ সংস্কার করে অন্তর্বর্তী সরকার এই অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে।

এই বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাদেশটি বন্য প্রাণী সংরক্ষণে একটি সুখবর। ইতিমধ্যে অর্থ বিভাগ থেকে নতুন বন্য প্রাণী উইংয়ের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। আগের আইনে বন সংরক্ষণে সরকার ও বন বিভাগের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। নতুন অধ্যাদেশে সেগুলো স্পষ্ট করা হয়েছে।

নতুন আইনে সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ প্রজাতির বন্য প্রাণীকে। অধ্যাদেশে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল টিকিয়ে রাখতে অনুকূল এমন ১০০ প্রজাতির গাছকেও সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

বন আইনে প্রথাগত বনবাসীর অধিকারকে সংরক্ষণ ও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বন অধিদপ্তর বনের সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ করবে, যাতে বনভূমি নতুন করে বেদখল না হয়।

আগের আইনের মতো অধ্যাদেশে চারটি তফসিল থাকলেও নতুন অধ্যাদেশে তসফিল–১ কে ক, খ, গ এ তিন উপভাগে ভাগ করা হয়েছে। তফসিল–১ (ক) তে পরিবেশের সূচক (ফ্ল্যাগশিপ স্পেসিজ) হিসেবে বাঘ ও হাতিকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তফসিল–১(খ)তে ২৫০ প্রজাতির বন্য প্রাণী সুরক্ষা পাবে।

বাংলাদেশে মাত্র পাঁচ প্রজাতির বন্য প্রাণী সংরক্ষিত বনে ভালো পরিবেশে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যায় টিকে আছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ