রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১০টায় বেলকুচি উপজেলার সড়াতৈল নিজ গ্রামের জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

সাম্যের জানাযায় মানুষের ঢল নামে। মাঠের আনাচে-কানাচে মানুষে ভরে যায়। জানাজা নামাজ পড়ান সাম্যের আপন মামা মাওলানা জাহিদুল ইসলাম।

এরআগে, বুধবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা থেকে সাম্য’র লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার গ্রামের বাড়ি এসে পৌঁছায়। লাশহাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জে আসেন তার প্রায় ৫০-৬০ জন বন্ধু। উপস্থিত সবাই চোখের জলে প্রিয় বন্ধুকে বিদায় দিয়েছেন। একই সাথে শত শত মানুষ তাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। 

সাম্যর আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। অকাল মৃত্যুতে পুড়ো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাত ১০টার দিকে সড়াতৈল জান্নাতুল বাকী কবরস্থান ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে সেখানেই মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় সাম্যকে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, তার বাবা ফকরুল আলম ফরহাদ অবসরপ্রাপ্ত বিসিসিআই সার কারখানার কর্মকর্তা। তিনি ২০১২ সাল থেকে স্বপরিবারে ঢাকার মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় বাস করেন। সাম্যের মা চার বছর আগে মারা গেছেন। চার সন্তানের মধ্যে সাম্য সবার ছোট। 

সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। স্যার এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

তার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ। 

জানাজার আগে বক্তব্য দেওয়ার সময় ছাত্রদল নেতারা সাম্যের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

সাম্যের বন্ধু এস এম নাহিয়ার ইসলাম জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সাম্য সম্মুখ সারিতে থেকে লড়াই করেছে। নতুন করে স্বাধীন হওয়া এই দেশের রাজপথেই তার রক্ত ঝরল-এটা মেনে নেওয়া যায় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, “সাম্যের এই নিষ্ঠুর হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে ছাত্রদল।”

পরিবারের পক্ষে সাম্যের চাচা মো.

মাহবুব বলেন, “সে ছিল মায়ের সবচেয়ে প্রিয় সন্তান। সবার আগে তাই মায়ের কাছেই চলে গেলো। আমার ভাতিজাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই সব সত্য দ্রুত প্রকাশ হোক।”

নিহতের বড় ভাই সর্দার আমিনুল ইসলাম বলেন, “ঢাকা থেকে তার এত বন্ধু এসেছে, আমি কল্পনাও করিনি। সবাই ওকে ভালোবাসতো, ওর জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।”

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) আমিরুল ইসলাম খান আলিম মুঠোফোনে বলেন, “সাম্য আমাদের গণতন্ত্রের লড়াইয়ের সাহসী সৈনিক ছিল। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘‘নিহত ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের মরদেহ রাত ৮টার দিকে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌছায়। রাত ১০টার দিকে তার জানাজা শেষে সড়াতৈল জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।”

ঢাকা/অদিত্য/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র স ল ইসল ম পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের টাকায় সচিবের বাড়ির কবরস্থান উন্নয়ন, বরাদ্দ ২৪ লাখ টাকা

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম নিজ আশাবট। এই গ্রামের একটি কবরস্থানের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, উন্নয়ন এবং সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করার নামে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আটটি ছোট প্রকল্প নিয়েছে জেলা পরিষদ। বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট ২৪ লাখ টাকা।

কাগজে-কলমে কবরস্থানটিকে ‘সামাজিক কবরস্থান’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর পারিবারিক কবরস্থান।

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন সরদারের ইচ্ছায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা পরিষদ সূত্র বলছে, স্থানীয় সরকার সচিবকে সন্তুষ্ট রাখতে কবির হোসেন কাজটি করেছেন। 

এক কবরস্থানের জন্য আট প্রকল্প গ্রহণ, কম্বল বিতরণে অনিয়ম, জেলা পরিষদের প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ মো. কবির হোসেনের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ২৬ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এরপর গত ২৭ অক্টোবর কবির হোসেনকে ময়মনসিংহ থেকে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। অবশ্য ২ নভেম্বর নতুন আদেশে কবির হোসেনকে নেত্রকোনা জেলা পরিষদে বদলি করা হয়। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কখনো কবরস্থানে প্রকল্প দিতে বলিনি। ওখানে জনগণের জন্য পানির ব্যবস্থা ও একটি পাঞ্জেখানা মসজিদের (যে মসজিদে জুমা ছাড়া অন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হয়) জন্য বলেছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘ছোট কাজ করতে বললাম, আর জেলা পরিষদ ভুলভাবে এটা করে বিশ্রী অবস্থা করেছে। আমি এখন এটি বাদ দিতে বলেছি।’ 

সচিব আরও বলেন, বিষয়টি শোনার পরই কবির হোসেনকে বদলি করে দিয়েছেন। শুরুতে পটুয়াখালী বদলি করলেও পরে নেত্রকোনায় করতে হয়। নেত্রকোনাতেও সাংবাদিকেরা আপত্তি করছেন। তাঁকে নতুন জায়গায় বদলি করা হবে। 

নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন কবির হোসেন সরদার। ইউএনও থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের নামে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত একটি পোশাক কারখানার শেয়ার কিনে সেটি দখলের অভিযোগ ওঠে। উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে ১১ মাস বসবাস করেও ভাড়া পরিশোধ না করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দুই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালে কবির হোসেনকে বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল (দুই ধাপ অবনমিত)। 

ছোট কাজ করতে বললাম, আর জেলা পরিষদ ভুলভাবে এটা করে বিশ্রী অবস্থা করেছে। আমি এখন এটি বাদ দিতে বলেছি।স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী৩৭ প্রকল্পের ৯টিই এক গ্রামে

জেলা পরিষদ সংবিধিবদ্ধ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। এটি স্থানীয় সরকার বিভাগের জারি করা পরিপত্র দিয়ে পরিচালিত হয়। জেলা পরিষদের নিজস্ব বাজেট রয়েছে। তা দিয়ে বিভিন্ন ছোট ছোট প্রকল্প ও অনুদানমূলক কাজ করে থাকে জেলা পরিষদ। অবশ্য এসব কাজ করার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও প্রভাবশালীদের ইচ্ছাপূরণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। 

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গত ১৮ মে জেলা পরিষদের তৎকালীন প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জিয়া আহমেদ সুমনের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাওয়া ৯০ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৭টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০টি প্রকল্প নেওয়া হয় ফুলপুর উপজেলায়, যার ৯টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে রামভদ্রপুর ইউনিয়নের নিজ আশাবট গ্রামে। প্রতিটি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা। 

এসব প্রকল্পে সুপেয় পানির অবকাঠামোর টাইলস ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, সুপেয় পানির অবকাঠামো নির্মাণ, সীমানাপ্রাচীর, নালা নির্মাণ ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রকল্পের তালিকায় দেখা গেছে, এক নম্বরে রয়েছে নিজ আশাবট গ্রামের হাজি শমসের আলী সাহেবের কবরস্থান উন্নয়ন। শমসের আলী স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর দাদা। ৪ নম্বর প্রকল্প নিজ আশাবট গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে সীমানাপ্রাচীর টাইলসকরণ। তালিকার ৮, ২১, ২৪, ২৫, ২৭ ও ৩২ নম্বর প্রকল্পও একই কবরস্থান ঘিরে। এসব প্রকল্পে সুপেয় পানির অবকাঠামোর টাইলস ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, সুপেয় পানির অবকাঠামো নির্মাণ, সীমানাপ্রাচীর, নালা নির্মাণ ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

নিজ আশাবট গ্রামে গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে গিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থানে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলতে দেখা যায়। তখন পর্যন্ত কবরস্থানের সীমানাপ্রাচীর, মোটর স্থাপন, পানির ট্যাংক বসানো ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার কাজ এগিয়েছিল। সেখানে ‘পারিবারিক কবরস্থান’ লেখা একটি পুরোনো সাইনবোর্ডও দেখা যায়। 

জেলা পরিষদের প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে কবরস্থানটিকে ‘সামাজিক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা গ্রামের সবার জন্য উন্মুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সরকার সচিবের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এটি পারিবারিক কবরস্থান। কিছুদিন আগে কবরস্থানের সীমানা চিহ্নিত করে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। কাজটি সরকারিভাবেই হচ্ছে। 

কবরস্থানের সীমানাপ্রাচীর, মোটর স্থাপন, পানির ট্যাংক বসানো ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার কাজ এগিয়েছিল। সেখানে ‘পারিবারিক কবরস্থান’ লেখা একটি পুরোনো সাইনবোর্ডও দেখা যায়। কম্বল বিতরণে নয়ছয়

জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেনের বিরুদ্ধে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কম্বল কেনায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। 

জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৮ জানুয়ারি কম্বল কেনার একটি কার্যাদেশ দেন কবির হোসেন। জেলার ১৩টি উপজেলার দুস্থ, অসহায় ও গরিব মানুষের জন্য প্রায় ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার কম্বল সরবরাহের জন্য নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে কম্বল সরবরাহের কথা। 

জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী ও কম্বল ক্রয় কমিটির সদস্য আবদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কোনো কম্বল বুঝে পাইনি।’ কিন্তু কীভাবে কম্বলের বিল গেল—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটি আমি জানি না।’ 

জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কম্বল বুঝে পাওয়ার কোনো নথি আমাদের কাছে নেই। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কম্বল বিতরণ হয়েছে মর্মে কিছু কাগজ আমাদের দিয়েছেন।’ 

প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ

জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার। তাঁর স্বাক্ষর জাল করে প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণের কার্যবিবরণী তৈরির অভিযোগ উঠেছে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে আসার পর কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা পরিষদের প্রশাসক তাহমিনা আক্তার। 

নোটিশের যথাযথ জবাবও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন কবির হোসেন। স্থানীয় সরকার সচিবের বাড়ির সামনে একই স্থানে আটটি প্রকল্প দেওয়া, কম্বল কেনায় নয়ছয় করার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রকল্প সব তো আমি একা করি না, মাসিক সভায় অনুমোদন করে মন্ত্রণালয় হয়ে আসে। কোনো সমস্যা থাকলে আমরা অনেক সময় প্রকল্প পরিবর্তন করি।’ 

এদিকে স্থানীয় সরকার সচিবের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন অবৈধ কাজ করানোর জন্য জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্য কর্মচারীদের অনবরত চাপ প্রয়োগ করেন কবির হোসেন। তাঁর ‘অত্যাচার’ থেকে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সম্পদ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয় অভিযোগপত্রে। 

জেলা পরিষদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটে ঐচ্ছিক কার্যাবলির আওতায় অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেখিয়ে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রশাসক তাহমিনা আক্তার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রায়েরবাজার গণকবরের জুলাই শহীদদের ফরেনসিক শনাক্ত শুরু ৭ ডিসেম্বর: আসিফ মাহমুদ
  • কবরস্থানেও দুর্নীতি, সচিবের দায়?
  • সরকারের টাকায় সচিবের বাড়ির কবরস্থান উন্নয়ন, বরাদ্দ ২৪ লাখ টাকা