ইরানি চলচ্চিত্র নির্মাতা জাফর পানাহি ১৯৬০ সালে ইরানের মিয়ানেহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইরানি নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। অপেশাদার অভিনেতাদের নিয়ে ন্যূনতম প্রযুক্তির সাহায্যে ইরানের সমাজবাস্তবতা, রাজনৈতিক নিপীড়ন, নারী অধিকার ও সেন্সরশিপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে চলচ্চিত্রে তুলে ধরেন। তাঁর প্রতিটি চলচ্চিত্রেই ইরানের নানামাত্রিক অসংগতি ও সীমাবদ্ধতা, বিশেষ করে নারীদের প্রতি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো উঠে আসে।

২০১০ সালে ইরান সরকার ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগে জাফর পানাহিকে গ্রেপ্তার করে। চলচ্চিত্র নির্মাণ, বিদেশভ্রমণ ও গণমাধ্যমে কথা বলার নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবু গোপনে একের পর এক চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করে যাচ্ছেন। তাঁর ‘দিস ইজ নট আ ফিল্ম’ চলচ্চিত্রটি ইউএসবি ড্রাইভে করে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠিয়েছিলেন। তেমনি বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সিলভার বেয়ার পুরস্কার পাওয়া তাঁর বিখ্যাত ‘ট্যাক্সি তেহরান’ চলচ্চিত্রে তিনি নিজেই ট্যাক্সি চালানোর মাধ্যমে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন।

জাফর পানাহির উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘দ্য হোয়াইট বেলুন’ (১৯৯৫), ‘দ্য সার্কেল’ (২০০০), ‘ক্রিমসন গোল্ড’ (২০০৩), ‘অফসাইড’ (২০০৬), ‘দিস ইজ নট আ ফিল্ম’ (২০১১), ‘ট্যাক্সি তেহরান’ (২০১৫), ‘নো বিয়ার্স’ (২০২২) এবং সর্বশেষ ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ (২০২৫)।

জাফর পানাহি এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাম দ’র (স্বর্ণপাম) পুরস্কার পান। এ ছাড়া ক্যামেরা দ’র, গোল্ডেন লায়ন, সিলভার বিয়ারসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০১২ সালে তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রদত্ত চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য সারকারভ পুরস্কার পেয়েছেন।

ইরানের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই জাফর পানাহিকে শত্রুজ্ঞান করে আসছে। নানা সময় তাঁকে সেন্সরের সম্মুখীন হতে হয়েছে, গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে, চলচ্চিত্র নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, এমনকি জেলেও যেতে হয়েছে। এত সব সত্ত্বেও পানাহি যাবতীয় প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এবার তাঁর নতুন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য দেশের বাইরে, অর্থাৎ কান উৎসবে আসতে পেরেছেন, যা কিনা ইরানি সমাজের নির্মোহ প্রতিচ্ছবি এবং শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক প্রত্যক্ষ ও সাহসী প্রতিবাদ।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে এ বছর পাম দ’র পুরস্কার জিতেছেন জাফর পানাহি। পুরস্কার ঘোষণার আগে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর টিভিতে লুইস ডুপোঁর সঙ্গে এই আলাপচারিতা করেছেন। সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন হেমায়েত উল্লাহ ইমন

প্রশ্ন:

আন্তর্জাতিক কোনো চলচ্চিত্র উৎসবে শেষবার অংশ নিয়েছিলেন ১৫ বছর আগে। এত দিন পর আবার কানে এসে কেমন লাগছে?

জাফর পানাহি: সত্যি কথা বলতে, অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের সঙ্গে বসে নিজের চলচ্চিত্র দেখার অভিজ্ঞাটুকু সবচেয়ে আনন্দের। গত ১৫ বছর কখনোই নিজের চলচ্চিত্র দর্শকদের সঙ্গে বসে দেখতে পারিনি। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখতে পারিনি। এবার সেই সুযোগ হয়েছে—মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে পারছি আমার কাজের শক্তি কোথায়, দুর্বলতা কোথায়। এত বছর ধরে এসব অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। আমার জীবনে এখন পর্যন্ত এই বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মনে হচ্ছিল কেঁদে ফেলব। কেননা, বুঝতে পারছিলাম, এত বছর নিজেকে দর্শকের সামনে যাচাই করার সুযোগই পাইনি। এ অভিজ্ঞতা খুবই দরকার ছিল। হয়তো সেই সুযোগ থাকলে আরও ভালো চলচ্চিত্র বানাতে পারতাম কিংবা আরও খারাপ—কে জানে!

প্রশ্ন:

‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ চলচ্চিত্রে বাহিদ নামের একজন মেকানিকের গল্প বললেন। একদিন বাহিদের কাছে একজন গাড়ি ঠিক করাতে এলে তার মনে হয়, এই লোকটিই তাকে জেলে বন্দী অবস্থায় নির্যাতন করত। সে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভাবে। বিশেষ এই গল্প বলার পেছনে কী অনুপ্রেরণা ছিল?

জাফর পানাহি: জেলে থাকা অবস্থায় আপনি একটা বিষয় খুব তীব্রভাবে অনুভব করবেন—বিশেষ করে যখন আপনাকে চোখ বেঁধে জেরা করা হবে। দেয়াল থেকে আধা মিটার দূরে বসানো হয়। কাগজে লেখার মতো সামান্য ফাঁকা করে চোখ বাঁধা হয়। জেরাকারী পেছনে থাকে। কেবল তার কণ্ঠস্বর শুনতে পাবেন। আপনার শ্রবণশক্তিই একমাত্র সক্রিয় থাকে। বাকি সব ইন্দ্রিয় নিস্তেজ হয়ে যায়। সেই মুহূর্তে আপনি ভাববেন—এই লোকটির বয়স কত? দেখতে কেমন? তার পড়াশোনা কতটুকু? যখন আমিও সেই কণ্ঠস্বর শুনি, তখন ভাবি, আমি কি মানুষটিকে চিনি, নাকি চিনি না? এমনটা কেবল আমার একার অভিজ্ঞতা নয়—অন্য বন্দীদেরও ছিল। ভেবে দেখি, এটাই তো হতে পারে চলচ্চিত্রের গল্প শুরুর দারুণ একটি জায়গা। অবশ্যই শুরুতে আমরা একটি পারিবারিক পরিবেশ নির্মাণ করি। তারপর আসে সেই কণ্ঠস্বর, যা কিনা সবকিছুর সূচনা করে। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে অন্য সব বিষয় গল্পে উন্মোচিত হয়। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখি, আরও কিছু চরিত্র আসে গল্পে। তারা প্রত্যেকেই সেই জেরাকারীর কথা বলে, কিন্তু প্রত্যেকেই তাকে আলাদা নামে ডাকে। সেই নামগুলো সবই তার হাঁটার ভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মানে হলো, তার পায়ের আওয়াজ প্রত্যেক বন্দীর মনে এক গভীর মনস্তাত্ত্বিক ছাপ ফেলেছে।

প্রশ্ন:

আপনার চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলোর মধ্যে একজন নারীকে দেখি, যিনি চুল ঢাকেন না। এই বিষয়টি মনে করিয়ে দেয় ইরানের ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ আন্দোলনের নারীদের কথা—যাঁরা স্বেচ্ছায় হিজাব খুলে ফেলছেন। আপনি কি এর মাধ্যমে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছেন?

জাফর পানাহি: আমি একজন সামাজিক চলচ্চিত্র নির্মাতা। সমাজে যা প্রত্যক্ষ করি, সেই বাস্তবতার ভিত্তিতেই চলচ্চিত্র বানাই। কোনো অসত্য দেখাতে পারি না। সমাজে যা ঘটছে না, তা দেখানো আমার কাজ নয়। ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ আন্দোলনের আগপর্যন্ত যেসব চলচ্চিত্র বানিয়েছি, সবই ঘরের বাইরে, রাস্তায়, জনসমক্ষে চিত্রায়িত হয়েছে। সেই পরিবেশে নারীদের মাথায় ওড়না থাকা স্বাভাবিক, যেহেতু তা আমাদের দেশের আইন। আমি কখনো ঘরের ভেতরের দৃশ্য তেমনভাবে দেখাইনি। কারণ, আমার পরিবারের নারীরা ঘরে কখনোই ওড়না পরেন না। তাহলে কীভাবে এ রকমটা দেখাতে পারি যে ঘরের ভেতরও ওড়না পরে থাকতে হবে? ঘরের ভেতরের এমন কোনো দৃশ্য দেখালে সেটা একেবারেই মেকি হয়ে যেত। তাই বরাবর বাইরের পরিবেশে দৃশ্য ধারণ করেছি।

কিন্তু ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ আন্দোলনের পর সবকিছু পাল্টে গেল। আন্দোলনের শুরুতে জেলে ছিলাম। বাইরে কী ঘটছে, তা খুব কমই জানতে পারতাম। কিছু কিছু খবর কানে আসত। নিজের চোখ দিয়ে কিছুই দেখতে পেতাম না। জেলে তখন নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিলাম। এর মধ্যে একদিন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য জেল থেকে আমাকে বের করা হয়।

সেই প্রথম রাস্তায় নিজের চোখে যা দেখি, তা ছিল বিস্ময়কর—নারীরা রাস্তায় ওড়না ছাড়া বের হচ্ছেন। সবাই নয়, কিন্তু অনেকেই। কেউ ওড়না ছাড়া, কেউ ওড়না পরে, কেউবা চাদর পরে। যাঁর যা ইচ্ছা, তিনি তা–ই করছেন। তখনই বুঝি, এখন যদি আমি আবার রাস্তায় চলচ্চিত্র বানাতে যাই—সেখানে সবাইকে ওড়নায় দেখাই—তবে তা হবে একপ্রকার মিথ্যা উপস্থাপন। এখন আর আগের মতো কাজ করা সম্ভব নয়।

প্রশ্ন:

এত বছরের বাধা, নিষেধাজ্ঞা, সেন্সরশিপ সত্ত্বেও আপনি ইরানি সমাজ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে যাচ্ছেন। ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও একই রকম। গোপনে নির্মাণ করতে হয়েছে এবং এর অস্তিত্বই যেন একরকম অলৌকিক ঘটনা। এর শুটিং প্রসঙ্গে আমাদের কিছু বলুন।

জাফর পানাহি: আমার ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই এখন ভ্রমণ করতে পারি, চলচ্চিত্র বানাতে পারি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যে ধরনের চলচ্চিত্র আমি বানাতে চাই, সেগুলোর অনুমতির জন্য সংস্কৃতি ও ইসলামি গাইডেন্স মন্ত্রণালয়ে চিত্রনাট্য জমা দিতে হয়। আমি জানি, তারা কখনোই আমাকে অনুমতি দেবে না। বরং যদি অনুমতির জন্য আবেদনই করি, তাহলে তারা বুঝে যাবে কী ধরনের চলচ্চিত্র বানাতে চাই। এতে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করবে।

তাই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও আগে যেভাবে চলচ্চিত্র বানাতাম—সেই পদ্ধতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এখনো গোপনে, আন্ডারগ্রাউন্ডেই চলচ্চিত্র বানাই।

প্রশ্ন:

ইরানে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন যদিও, ইরান সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত নয়, এমন একটা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করেছেন। ফিরে গেলে কী হতে পারে, তা ভেবে কি ভয় পাচ্ছেন?

জাফর পানাহি: দেখুন, আমি কোনো আদর্শিক স্লোগান দিতে চাই না। সাহসী সাজতেও চাই না। কিন্তু সত্যি বলতে, আমি আসলে তেমন কিছুই করিনি। কোনো বড় কাজ করিনি। একজন ইরানি নারীর কথা ভাবুন, যদি তিনি ঘরের বাইরে ওড়না ছাড়া বের হন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, জরিমানা করা হয়, অপমানিত হতে হয়—এমনকি এর চেয়েও খারাপ কিছু ঘটতে পারে। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় যে আবার এমন করলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে—জেলেও যেতে হতে পারে, অথবা কে জানে কী হবে।

আর আমি কী করেছি? শুধু একটা চলচ্চিত্র বানিয়েছি। ওই নারীর মতো সাহসী কিছু করিনি। তাঁর মতো বিপদের মুখে পড়িনি। ওই নারী অনেক বড় ঝুঁকি নিচ্ছেন। কারণ, তাঁকে কেউ চেনে না। তাঁকে গ্রেপ্তার করলে কেউ জানবে না। কিন্তু আমাকে গ্রেপ্তার করা হলে সবাই জানতে পারে। তাই তিনি অনেক বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। তিনি অনেক বড় ত্যাগ স্বীকার করছেন। আর সেটাই সত্যিকারের সাহসিকতা। আমার সেই নারীর এক–দশমাংশ সাহসও নেই।

তাহলে কি আপনারা মনে করেন না আমার ফিরে যাওয়া উচিত? অবশ্যই আমার ফিরে যাওয়া উচিত। আমি ফিরব—তাঁর পাশে হাঁটব এবং তাঁর প্রতি আমার সংহতি জানাব।

লুইস ডুপোঁ: আপনার সাহসের জন্য অভিনন্দন এবং এমন চলচ্চিত্র উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

জাফর পানাহি: ধন্যবাদ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র ন র ম ণ চলচ চ ত র উৎসব চলচ চ ত র ব ন ত গ র প ত র কর ন জ ফর প ন হ ন চলচ চ ত র চলচ চ ত র র র চলচ চ ত র ন র ম ণ কর প রস ক র স ব ধ নত ব স তবত র জন য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

বদরগঞ্জে এসিআই মোটরসের ‘গ্র্যান্ড ডেলিভারি উৎসব’

বাংলাদেশের কৃষিতে দ্রুতগতিতে বাড়ছে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার, যা বদলে দিচ্ছে দেশের কৃষির চিরচেনা দৃশ্যপট। গরু-মহিষের লাঙল আর কাস্তে-হাতুড়ির যুগ পেরিয়ে এখন কৃষি প্রবেশ করেছে পূর্ণাঙ্গ যান্ত্রিক যুগে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের এই যুগে ২০০৭ সালে সোনালিকা ট্রাক্টর দিয়ে যাত্রা শুরু করে এসিআই মোটরস। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার দিয়ে দেশের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ জমি চাষ হচ্ছে। যার ফলে সোনালিকা ট্রাক্টরের ২৬ হাজারেরও বেশি সন্তুষ্ট গ্রাহক রয়েছেন, যা বাংলাদেশে সর্বাধিক বিক্রীত ট্রাক্টর ব্র্যান্ড।

বর্তমান আধুনিক কৃষিতে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান এসিআই মোটরস প্রতিবছরের মতো এবারও আয়োজন করে ‘সোনালিকা সার্ভিস ক্যাম্পেইন’। যার মূল উদ্দেশ্য হলো আসন্ন কৃষি মৌসুমের জন্য গ্রাহকদের ট্রাক্টর প্রস্তুত রাখা। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় ‘গ্র্যান্ড ডেলিভারি উৎসব’ আয়োজন করে এসিআই মোটরস, যেখানে একক স্থান থেকে ১০০টির বেশি সোনালিকা ট্রাক্টর গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ৮০টি সোনালিকা ট্রাক্টর দিয়ে নির্মিত ‘সোনালিকা’র বিশালাকার লোগো। এ ছাড়া উৎসবের মধ্যে ছিল গ্রাহকদের জন্য ফ্রি সার্ভিস ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসিআই মোটরসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাসসহ এসিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ট্রাক্টরমালিক, চালক, ডিলার, এজেন্ট ও শুভানুধ্যায়ীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসিআই মোটরসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাসসহ এসিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৮ বিভাগীয় শহরে চলছে চলচ্চিত্র উৎসব, প্রথম পুরস্কার দেড় লাখ টাকা
  • কানে প্রশংসিত রাজীবের ‘আলী’, হঠাৎ কেন ইরফানের ‘আলী’ সিনেমার ঘোষণা
  • নতুন জামায় ঈদ
  • মেহজাবীনকে কেন ‘চার্লি চ্যাপলিন’ বলছেন?
  • বদরগঞ্জে এসিআই মোটরসের ‘গ্র্যান্ড ডেলিভারি উৎসব’
  • উৎসবে শাড়ি
  • ছেলেদের ট্রফি জয়ের আনন্দ, উৎসবে যোগ দিলেন মেসিও
  • মা হওয়ার পর কতটা বদলেছেন আলিয়া
  • লিভারপুলের শিরোপা–উৎসবে গাড়িচাপায় আহত ৪৭: পুলিশ বলছে ‘সন্ত্রাসবাদ নয়, বিচ্ছিন্ন ঘটনা’
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ২৫ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ