সংস্কার কার্যক্রমে বাধা দিলে কঠোর হস্তে প্রতিরোধ করা হবে: হাসনাত
Published: 26th, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কাজে কোনো বাধা মেনে নেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি সবাইকে সরকারের কাজে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
সোমবার সকালে দলটির চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় সাংগঠনিক সফর শুরুর আগে নগরের ষোলশহরে বিপ্লব উদ্যানের সামনে এক জমায়েতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আহ্বান জানান। যারা সরকারের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের যদি সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে কোনো পর্যালোচনা থাকে, কোনো মন্তব্য থাকে, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সেটা সমাধান করুন। সংস্কার কার্যক্রমে বাধা দিলে কঠোর হস্তে তা প্রতিরোধ করা হবে। সরকারকে সহযোগিতা করুন, সংস্কার কার্যক্রমকে সহযোগিতা করুন। কিন্তু সরকারকে যদি জিম্মি করেন, সেটার পরিস্থিতি ভালো হবে না। আপনাদের তো কোনো হিম্মত ছিল না ফ্যাসিবাদী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এ সরকারকে যদি আপনারা হুমকি দেন, ধমকি দেন, সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে বাধা দেন, তাহলে মনে রাখবেন এই জনগণ আপনাদের বিকল্প খুঁজে নেবে।’
সচিবালয়ে আন্দোলন প্রসঙ্গেও কথা বলেন হাসনাত। তিনি বলেন, ‘পাঁচ আগস্টের আগ পর্যন্ত সচিবালয়ের কোনো সচিব, কোনো কর্মকর্তা, কোনো কর্মচারী কি পদত্যাগ করেছিল? রাস্তার মধ্যে সন্তানদের, দেশের সাধারণ নাগরিকদের গুলি করে যখন হত্যা করছিল, একজন সচিব, একজন আমলা, একজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কি পদত্যাগ করেছিল?’
তিনি বলেন, আজ যখন সরকার সংস্কার কার্যক্রম শুরু করছে, সেখানে তারা সহযোগিতা না করে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের জীবন থাকতে, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, হাসনাত আবদুল্লাহ বেঁচে থাকতে, দেশে লাখ লাখ হাসনাত আবদুল্লাহ রয়েছে, তারা বেঁচে থাকতে সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে যদি বাধা আসে, সচিবালয় থেকে যদি বাধা আসে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর হস্তে সেটা প্রতিরোধ করা হবে। আপনারা এটা ভাববেন না যে, আপনাদের বিকল্প নেই। জনগণ বিকল্প খুঁজে নেবে।’
এর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এনসিপি নেতা হাসনাত অন্য দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'বউত দিন হাইয়ো, আর না হাইয়ো'। তার এই বক্তব্যের পর এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। কেননা ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালীন সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা.
গত রোববার থেকে চট্টগ্রামে দল গুছানোর অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পথসভা ও গণসংযোগ করছেন হাসনাত আবদুল্লাহসহ দলটির সিনিয়র নেতারা। রোববার দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়। আজ উত্তর চট্টগ্রামের ছয় উপজেলায় ছয়টি পথসভায় বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তার। স্থানগুলো হচ্ছে- রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রোয়াজারহাট, রাউজান বাসস্ট্যান্ড, হাটহাজারী ডাকবাংলো, ফটিকছড়ির বিবিরহাট বাসস্ট্যান্ড, মীরসরাইয়ের বারইয়ারহাট বাজার ও সীতাকুণ্ড বাজার। আজ সকালে নগরের বিপ্লব উদ্যানের জমায়েতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু ও মো. আতাউলসহ, কেন্দ্রীয় সংগঠক আরমান হোসেন প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র র স স ক র ক সহয গ ত আপন দ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
লাঙ্গল মার্কার কেউ বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না : টিপু
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, বন্দরে যারা লাঙ্গল মার্কায় নির্বাচন করে বা জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করেছেন, তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না।
এইসব লোক খুনি সেলিম ওসমানের দালালি করেছে। তারা মুখে মুখে বিএনপির কথা বলে, অথচ কাজ করে জাতীয় পার্টির জন্য। এদের কোনভাবেই বিএনপির সদস্যপদ দেওয়া যাবে না।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় বন্দর উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সবসময় গণতন্ত্রের কথা বলেছে কিন্তু এই চেতনাকে ধারণ করে ৭১ থেকে ২৪ পর্যন্ত তারা এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অসম্মানিত করেছে, লন্ডিত করেছে, পদদলিত করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিক্রি করে, লুটপাট চুরি ডাকাতি করে। এদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার বিদেশে করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৬টি বছর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন করে জনগণের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। আর আমরা যেন বিএনপির, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদল সব মিলিয়ে ১১টি অঙ্গ সংগঠন আমরা যেন জনগণের মুখের হাসি কেড়ে না নেই। এবং আমরা যেন জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের যেকোনো সমস্যার সমাধানে সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।
বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, শহীদ যুবদল নেতা আবুল হোসেন স্বজনের পিতা জাকির হোসেন।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সম্রাট হাসান সুজন, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল মিয়া, সহ- সভাপতি কবির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন রাজিব,বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানস, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।