বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কুমিল্লাসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দুই দিন সারাদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর ফলে, এ বছরও কুমিল্লায় বন্যা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল পলাশ।

ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে গত বছরের মতো এবারো কুমিল্লাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’’

জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুর ৩টা পর্যন্ত কুমিল্লায় ৩৯.

৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শেরপুরে কমেছে সব নদীর পানি, বাঁধে ফাটল থাকায় আতঙ্ক

শেরপুরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, সতর্কতা জারি

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. সৈয়দ আরিফুর রহমান বলেন, “বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আগামী তিন দিন কুমিল্লায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”

এদিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারি বৃষ্টিপাতে আগামী দুই দিন গোমতী, মুহুরী ও ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কুমিল্লায় বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।

তবে, গোমতীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান।

তিনি বলেছেন, ‘‘নিম্নচাপের গতিবেগ ও অবস্থান স্থিতিশীল হলে কুমিল্লায় বন্যার প্রকৃত পরিস্থিতি নির্ধারিত হবে।”

২০২৪ সালের আগস্টে কুমিল্লায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে প্রায় এক হাজার ১০০ কিলোমিটার পাকা সড়কের ক্ষতি ও বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

ঢাকা/রুবেল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন য ক ম ল ল য় বন য য় বন য র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ