অন্তর্বর্তী সরকা‌রের প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক ধারার রক্ষণশীল বাজেট উল্লেখ ক‌রে এটা নি‌য়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

সোমবার (৬ জুন) তাৎক্ষ‌নিক বা‌জেট প্রতি‌ক্রিয়ায় তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, “এই বাজেটের চরিত্র ও ধরণ দেখে একে গতানুগতিক ধারার রক্ষণশীল বাজেট বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। বাজেটের আকার, আয়-ব্যয়, এডিপি ও জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে অতিতের সক্ষমতা, এডিপি বাস্তবায়নে জনপ্রশাসনের সক্ষমতা এবং দেশের বিধ্বস্ত অর্থনীতি বিবেচনায় রক্ষণশীল বাজেট প্রত্যাশিত ছিল।”

আরো পড়ুন:

বা‌জেট পর্যা‌লোচনা ক‌রে প্রতিক্রিয়া জানা‌বে জাপা

নিয়ম রক্ষার বা‌জেট: এবি পার্টি

তিনি বলেন, “কারণ বাস্তবতা উপেক্ষা করে উচ্চভিলাসী বাজেট প্রস্তাব করা ধুর্ত রাজনৈতিক সরকারের চরিত্র। যে কাজ পতিত স্বৈরাচার বারবার করে এসেছে। সেই ধারা অনুসরণ না করায় সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।”

তিনি আরো বলেন, “তবে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখা, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন খাতের ওপর গণযোগাযোগ ও জ্বালানী খাতকে প্রধান্য দেয়ার মতো অতিতের ধারা অব্যহত রাখায় এ বাজেটকে গতানুগতিক বলেই মনে হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের ফলে গঠিত সরকারের কাছে আরো সুচিন্তিত ও বৈপ্লবিক বাজেট প্রত্যাশা করা হয়েছিলো; এই বাজেট সেই প্রত্যাশাকে আঘাত করেছে।”

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার অর্থ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া মন্তব‌্য ক‌রে যুগ্ম-মহাসচিব ব‌লেন, “এই সরকারের কাছে এটা প্রত্যাশিত ছিল না। পাচারকৃত টাকা আদায়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়নি। মুল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা চ্যালেঞ্জিং হবে। সামগ্রিকভাবে এই বাজেট অর্থনীতিকে শ্লথ করবে এবং জনজীবনের দুর্দশা লাঘবে উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো কিছু নেই।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গত ন গত ক প রস ত ব সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পুকুরে মাছ ধরতে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যু

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে পুকুরে মাছ ধরার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের বকাউল পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

আরো পড়ুন:

যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

বিদ্যুৎ আমদানির অর্থ পরিশোধে নিয়ম সহজ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিহতরা হলেন— কোদালপুর ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী গ্রাম দেওয়ান পাড়ার হানিফা মোল্লার ছেলে নূরে আলম মোল্লা (৪০) ও আলমগীর দপ্তরি (৫২)। 

পুলিশ জানিয়েছে, দেওয়ান পাড়ার নূরে আলম ও আলমগীর সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে পাশের এলাকা বকাউল পাড়ার বিলের একটি পুকুরে মাছ ধরতে পানি সেচে ফেলার জন্য বৈদ্যুতিক মোটর স্থাপন করেন। মঙ্গলবার ভোরে মাছ ধরার মুহূর্তে তারা দুজনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিহত নূরে আলম মোল্লার ছেলে নিরব বলেছেন, সোমবার রাতে আমার বাবা আলমগীর কাকার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিল। আমি ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে বিলে গিয়ে দেখি, বাবা ও আলমগীর কাকা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে আছেন। তখন আমি দৌড়ে কারেন্টের মেইন সুইচ বন্ধ করে লোকজনকে ডাক দিই। তারা এসে বাবা ও কাকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) শামসুল আরেফীন বলেছেন, মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবার থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/আকাশ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ