১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলেন ট্রাম্প
Published: 5th, June 2025 GMT
জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পাশাপাশি আরো ৭টি দেশের ক্ষেত্রে আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ট্রাম্প এ–সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন। আগামী সোমবার থেকে এটি কার্যকর করা হবে।
নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকেরা।
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পের ‘সুন্দর’ বাজেট বিলকে ‘জঘন্য’ বললেন মাস্ক
অভিনেতাকে গুলি করে হত্যা
এছাড়া ট্রাম্প আরো সাতটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
কলোরাডোতে ইহুদিদের একটি র্যালিতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনার পর এ পদক্ষেপ নিলেন ট্রাম্প। অভিযুক্ত মিশরীয় ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তবে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় মিশরের নাম নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “প্রেসিডেন্ট হিসেবে, আমার দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় এমন লোকজনকে আমাদের দেশে প্রবেশ করার অনুমতি দেবো না আমরা। যে দেশগুলো তথ্য বিনিময় ও পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতায় আগ্রহী, তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ চালিয়ে যাবে।”
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদকালেও ট্রাম্প সাতটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তবে জো বাইডেন ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলেন। বাইডেন এই নিষেধাজ্ঞাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জাতীয় বিবেকের ওপর একটি কলঙ্ক’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের মতো এবারও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ভ রমণ ন ষ ধ জ ঞ য ক তর ষ ট র র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুতে এআই ব্যবহারে থাকবে শিথিলতা, তবে অপব্যবহার করা যাবে না: নির্বাচন কমিশন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে। তবে এর অপব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য জুলফিকার মাহমুদ।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর আচরণবিধিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদের এক দাবির জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধির ৭–এর ঘ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করা যাবে না। আমরা যারা ছোট সংগঠন, আমাদের তহবিল সীমিত। আমরা নির্বাচনী প্রচারের জন্য এআই ব্যবহার করে দু-এক মিনিটের ভিডিও বানিয়ে প্রচার কার্যক্রম চালাতে চাই। আমাদের দাবি, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যেন শিথিল নীতি গ্রহণ করে।’
মুরাদ আরও বলেন, বিগত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কিছু ত্রুটি লক্ষ করা গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত রাখার জন্য যতগুলো ভোটকক্ষ থাকবে, সব কটি সিসিটিভি ফুটেজের আওতায় রাখতে হবে। সবার জন্য সেই সিসিটিভি ফুটেজ উন্মুক্ত রাখতে হবে। ভোট গ্রহণকে স্বচ্ছ রাখার জন্য ভোটকক্ষের ভেতরে জাতীয় গণমাধ্যমকে সরাসরি সম্প্রচার করার অনুমতি দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জকসুর নির্বাচন কমিশনার জুলফিকার মাহমুদ বলেন, ‘এআই ব্যবহার করে বিভিন্নজনের চরিত্র হনন করা হয়, অপপ্রচার চালানো হয়। সেদিক থেকে চিন্তা করে এআই ব্যবহার নিষিদ্ধ রেখেছিলাম। তোমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এআই ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে প্রচার–প্রসারে, তবে অপব্যবহার করা যাবে না। আর সরাসরি সম্প্রচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আলোচনা করে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।