‘উৎসব’ আর ‘তাণ্ডব’ দেখার ইচ্ছা আছে
Published: 10th, June 2025 GMT
ইনস্টাগ্রাম থেকে
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমি ভুইলা গেছি তাগো কথা, তারা আমার কাছে মৃত’
বছর ঘুরে ঈদ আসে, ঈদের উৎসব শেষও হয়। পূজা আসে পূজা যায়। কিন্তু এমন বিশেষ দিনেও স্বজনদের দেখা পান না ফরিদপুরের শান্তি নিবাসের (বৃদ্ধাশ্রম) বাসিন্দারা। ফলে নিঃসঙ্গ অবস্থায় ঈদ পালন করেন তাঁরা। শান্তি নিবাসের চার দেয়ালের মধ্যে কখনো কখনো প্রিয় সন্তান-স্বজনদের কথা ভেবে মুখ লুকিয়ে নীরবে কাঁদেন। অতীতের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার দিনগুলো স্মরণ করে বুকে পাথর চেপে ঈদ কাটিয়ে দেন।
গত শনিবার (৭ জুন) উদ্যাপিত হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার ফরিদপুর শহরের পূর্ব প্রান্তে টেপাখোলা লেকের পাড়ে অবস্থিত বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে জানা গেল, ঈদের দিনেও বাসিন্দাদের খোঁজখবর নিতে কারও কোনো সন্তান–স্বজন আসেননি। কারণ জানতে চাইলে বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, ‘আমার কথা তারা ভুলে গেছে।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে কেউ বলছেন, ‘আমার কাছে তারা মৃত।’ কেউবা কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে বলছেন, ‘আজ তো সবাই ব্যস্ত, তাই হয়তো সময় করে উঠতে পারেনি।’
নড়াইলের বাসিন্দা লতিফ শিকদারের (৬০) এক বছর ধরে আশ্রয় হয়েছে শান্তি নিবাসে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা তিনি। স্ট্রোক করার কারণে এখন কথা বলতে পারেন না। দরজির কাজ করে সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হন। আবার স্ট্রোক করেন। ওই সময় থেকে তিনি কথা বলতে পারেন না। ছেলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়, কিন্তু এরপর আর কোনো খবর নেয়নি। কিছুটা সুস্থ হয়ে প্রতিবেশীর মাধ্যমে এই শান্তি নিবাসে এসে আশ্রয় নেন।
লতিফ শিকদার বলেন, ‘অসুস্থ হইয়া পড়লে ছোয়ালডা আমারে হাসপাতালে রাইখা চইলা যায়। আর আমার খোঁজ নেয় নাই। আমি বাঁচলাম না মরলাম, সে খবরও নেয় নাই। আমিও আর তাগো কাছে ফিরা যাই নাই। আমি ভুইলা গেছি তাগো কথা। তারা আমার কাছে মৃত।’
দুজন এসেছেন দুই জায়গা থেকে। তবে হেলেনা ও ময়না বেগমের গল্পটা একই। বৃদ্ধাশ্রমে এসে হয়ে উঠেছেন একে অপরের সুহৃদ। গতকাল রোববার ফরিদপুর শহরের শান্তি নিবাসে (বৃদ্ধাশ্রম)