মহাসমাবেশে পঞ্চাশ হাজার লোক নিয়ে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ : মুফতি মাসুম বিল্লাহ
Published: 16th, June 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, আগামী ২৮ তারিখে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে পঞ্চাশ হাজার লোক নিয়ে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এবং দেশ ও ইসলামবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশে জাতির উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ রাখবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ইসলাম, দেশ ও জনগণের পক্ষে একটি ভোট বাক্স দেয়ার ব্যাপারে সকল কেন্দ্রীয়ভাবে প্রচেষ্টা চলছে। দেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট-এর প্রতি সম্মান করেই নির্বাচনে মাঠে থাকবে ইসলামী দলগুলো। সর্বমহলে কথা উঠেছে যে, এবার আমরা নতুন কাউকে চাই। বিগত দিনের মত আর ধোঁকাবাজদের চায় না এদেশের জনগণ।
আজ ১৬ জুন সোমবার বিকাল ৫টায় নগর কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর-এর উদ্যোগে মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ঈদু পুনর্মিলনী ও যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর সহ-সভাপতি মুহা.
মুফতি মাসুম বিল্লাহ আগামী ২৮ জুনের মহাসমাবেশে সকল নেতাকর্মী ও তৌহিদী জনতাদেরকে নিয়ে অংশগ্রহণ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পার্বত্য ৩ আসনে প্রার্থী না দিতে জাতীয় দলগুলোর প্রতি আহ্বান ইউপিড
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় পার্বত্য অঞ্চলের তিন আসনে প্রার্থী না দিতে জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দলগুলো প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউপিডিএফ।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা এ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “ইউপিডিএফ বরাবরই গণতান্ত্রিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করে। শত দমন-পীড়ন, নানামুখী উস্কানি ও চাপের মুখেও সে কারণে ২৭ বছর ধরে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই অঞ্চলের জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।”
গণতান্ত্রিক দল হিসেবে ইউপিডিএফ ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং একইভাবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ইউপিডিএফ নেতা পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাৎপদ পাহাড়ি জনগণের সমস্যা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দাবি তুলে ধরার জন্য জাতীয় সংসদে নিজেদের জাতিসত্ত্বার লোকের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন। জাতীয় সংসদে পাহাড়িদের জন্য ‘সংরক্ষিত আসনের’ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অঞ্চলের জনগণের স্বার্থ, অনুভূতি এবং সর্বোপরি পাহাড়িদের অস্তিত্বের সংকটাপন্ন দশা বিবেচনা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি সংসদীয় আসনে কোনো পাহাড়ি কিংবা অপাহাড়ি প্রার্থী না দেওয়ার জন্য বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ অন্যান্য সকল জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রসিত খীসা জাতীয় সংসদে পাহাড়ি জনগণের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ইউপিডিএফের এই আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সুশীলসমাজসহ সব মহলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জাতীয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট বা সমঝোতা না করতে পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকা/শংকর/রফিক