দলের বৃহত্তম সার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে : গিয়াসউদ্দিন
Published: 10th, December 2025 GMT
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ ৪-আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, সব সময় দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, কিভাবে আগামী দিন দল ক্ষমতায় আসবে, রাষ্ট্রীয় দায়ীত্ব নিবে, আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান তার পিতার পরে, তার মাতার পরে তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশের দায়ীত্ব নিয়ে দেশ এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর ) দুপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় সিদ্ধিগঞ্জ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, দেশ ও জনগণের কল্যানের জন্য রাজনীতি করতে হবে এবং দলের বৃহত্তম সার্থে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রিয়নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক অসুস্থ আপনারা দেশনেত্রীর জন্য দোয়া করবেন আল্লাহতালা তাকে যেন দ্রুত সুস্থ করে দেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় উক্ত দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম,এ,হালিম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি জি,এম,সাদরিল, মোস্তফা কামাল, সেলিম মাহমুদ, রওশন আলী, ডি,এইচ,বাবুল, এ্যাডঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস,এম,আসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাসের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, কামরুল হাসান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন,গণ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন সিকদারসহ ১ থেকে ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ক জ কর রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো দলটি কোনো মেগা প্রকল্পে যাবে না। তারেক রহমান বলেছেন, মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার উন্নয়নের পেছনে খরচ করা হবে।
আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান এ কথা বলেন। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। বিজয়ের মাস উপলক্ষে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে যুবদল এবং কৃষক দলের নেতারা অংশ নেন।
বিগত স্বৈরাচারের সময় মেগা প্রকল্প হলেও উদ্দেশ্য সফল হয়নি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিগত স্বৈরাচারের সময় উন্নয়নের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আইটি পার্কের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে এখন বিয়েশাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে করা হয়েছিল, সেটি সফল হয়নি।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো সংস্কার করে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের সুযোগ করে দেবে।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, কর্মসংস্থানসহ আটটি বিষয়ে কীভাবে কাজ করবে—এ নিয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর জন্য ধারাবাহিক কর্মশালা বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বিএনপি। এই অনুষ্ঠান শুক্রবার বাদে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামা দলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন অংশ নেবে। এরপর বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের বাইরে অন্য কোনো একটি দিনে হবে সমাপনী অনুষ্ঠান। এ কর্মশালার চতুর্থ দিনে যুবদল এবং কৃষক দলের নেতারা অংশ নেন।
নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, ‘দল হিসেবে বিএনপির কাছে মানুষ নির্দিষ্ট পরিকল্পনা চায়। ক্ষমতায় গেলে তারা কী করবে জানতে চায়। আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছি। এমন পরিকল্পনা আর কোনো দল করেনি। এখন আর বসে থাকলে চলবে না। মানুষকে এসব পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে। পরিকল্পনার যদি ৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে দেশের মানুষের শুভ পরিবর্তন হবে।’
দেশ রক্ষার জন্য আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে জেতাতেই হবে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে জেতাতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে জণগণের পক্ষের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে। নো কম্প্রোমাইজ।’
নেতা–কর্মীদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা এখনই মাঠে নেমে পড়ুন। মাঠে না নামলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন, প্রত্যেকবার দেশকে রক্ষা করেছে বিএনপি। এখন আবার দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়েছে। মানুষের কাছে যান।’
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারের সময় রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের মানবাধিকার হরণ করা হয়েছিল। দল হিসেবে বিএনপি সবচেয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আগামীতেও ভিন্নমতাদর্শের মানুষ যাতে নিরাপদে মতামত জানাতে পারে, সেই ব্যবস্থা করবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘যার যার মতাদর্শ অনুযায়ী কথা বলবে। সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আগামী দিনে বিএনপি চায় মতামত প্রকাশের জন্য আবরার ফাহাদের মতো যেন হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে না হয়।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান (সোহেল)।