মিরাজ নেই, টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
Published: 17th, June 2025 GMT
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে গলে আগে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে দশটায় ম্যাচটি শুরু হবে।
টস
বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতেছেন। তিনি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জ্বরের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
৮ বছর পর গলে বাংলাদেশ
আরো পড়ুন:
র্যাংকিংয়ে বড় লাফ কামিন্দুর, লিটনের অবনমন
রেটিংয়ে তামিমের রেকর্ড ভাঙলেন লিটন
সাগর পাড়ের স্টেডিয়াম গল। পৃথিবীর অন্যতম নয়নাভিরাম স্টেডিয়াম। ১৯৯৮ সালে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কেবল দুটি ম্যাচ খেলেছে এই মাঠে। ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে। ৮ বছর পর বাংলাদেশ এই মাঠে খেলতে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে মুশফিকুর রহিম এই মাঠে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ম্যাচটি ড্র করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পারেনি ম্যাচ বাঁচাতে। লম্বা সময় পর গলে ফিরে বাংলাদেশ কেমন করে সেটা দেখার।
পিঠাপিঠি অবস্থানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
সবশেষ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পিঠাপিঠি অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ১৩ ম্যাচে মাত্র ৫টিতে জিতেছিল। পয়েন্ট তালিকায় ছিল ছয় নম্বরে। বাংলাদেশ ১২ ম্যাচে মাত্র ৪টিতে জিতেছিল। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান ছিল সাতে। এবার দুই দল নিজেদেরকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে সেটাই দেখার।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বা টেস্ট বিশ্বকাপের চতুর্থ চক্রের খেলা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার এই টেস্ট সিরিজ দিয়ে। ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত নয়টি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। প্রতিটি দল দুই বছরের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। যার তিনটি দেশের মাটিতে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতিটি সিরিজ হবে কমপক্ষে দুই টেস্টের। সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট থাকতে পারবে এক সিরিজে। এই সময়ে সিরিজ হবে মোট ২৭টি, যেখানে টেস্টের সংখ্যা ৭১টি। ২০২৭ সালের জুনে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল। শেষ তিন আসরের মতো ইংল্যান্ডেই বসবে সাতাশের ফাইনাল। সম্ভাব্য ভেন্যু লর্ডস।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নির্বিচার পাখির মতো গুলি করা হয়: মামুনুল হক
ইসলামি জনতাকে বারবার বুলেটের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নির্বিচার পাখির মতো গুলি করা হয়। ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনের কারণে আলেমদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবে এ দেশে আপামর তৌহিদি জনতা, ছাত্রজনতা, কৃষক–শ্রমিক–মজুরদের হত্যা করে বাংলাদেশকে রক্তে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক এ কথা বলেন।
আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ হবে বলে দাবি করেন মামুনুল হক। তিনি জানান, বিগত সময়ে যারা ক্ষমতার মসনদে ছিল, তারা দেশের প্রতিনিধি নয়; বরং ভিনদেশি কৃতদাসী হিসেবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায় নয়, ভিনদেশিদের স্বার্থ আদায় করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। দেশটাকে উজাড় করে সোনার বাংলাকে শ্মশান বানিয়ে মানুষের রক্ত ও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে দেশটাকে গুমের রাজত্বে পরিণত করা হয়েছিল। বাংলাদেশটাকে মৃত্যুকূপে পরিণত করা হয়েছিল।
বিগত সরকারের আমলে ইসলামি নেতাদের বছরের পর বছর বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল অভিযোগ করে মামুনুল হক বলেন, জেল–জুলুম–হুলিয়া চালানো হয়েছিল, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছিল। কারাগারে বিনা চিকিৎসায় আলেমদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল—১৫টি বছর ছিল আলেম–ওলামা তথা ইসলামপন্থীদের রক্ত দেওয়ার, ত্যাগ ও কোরবানির সময়। সব জুলুম–নির্যাতনের পর চব্বিশের বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চব্বিশের এ বিপ্লবে যারা বুক চিতিয়ে জীবন দিয়েছিল, তাদের সিংহভাগ ছিল আলেমসমাজ। জীবন ও রক্তের বিনিময়ে বিদেশি আধিপত্যমুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে আবার বিদেশি পরাজিত শক্তি অন্য কারও মাথার ওপর ভর করে বাংলার মানুষকে যদি জিঞ্জিরাবদ্ধ করতে চায়, তা বরদাশত করা হবে না।
ঐক্যবদ্ধ জনগণ যাদের প্রতিহত করেছে, তারা ভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ করছি, জীবন দিয়ে যেই ফ্যসিবাদ বিতাড়িত করেছি, সেই ফ্যাসিবাদ ভিন্নরূপে বাংলার ক্ষমতার মসনদে আসার পাঁয়তারা করলে আমরা রাজপথে লড়াই করে মোকাবিলা করব। নিজের বক্তব্যে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দুর্নীতি বন্ধ ও জুলাই সনদের আইনিভিত্তি বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীকের পাশাপাশি গণভোটে হ্যাঁ ব্যালটে সিল দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন, নায়েবে আমির শাহ মুহাম্মদ সাঈদ নূর, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, ফুলবাড়িয়া আসনে খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী মুফতি আবদুল কাদের, জামায়াত মনেনানীত প্রার্থী অধ্যক্ষ কামরুল হাসানসহ খেলাফত মজলিসের অন্য নেতারা।
একই দিন বিকেলে ভালুকা সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশেও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মামুনুল হক।