১৪ বছরে পদার্পণ করেছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিক্রয় ডটকম। প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবসাকে সবার কাছে সহজলভ্য করার ফলে বাংলাদেশের কেনাবেচার ধারা বদলে দিয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেসটি। আর তাই ২০১২ সালের অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা মার্কেটপ্লেসটিতে দুই কোটির বেশি বিক্রেতা পাঁচ কোটির বেশি সম্ভাব্য ক্রেতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিক্রয় ডটকম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিক্রয় ডটকম এমন একটি মাধ্যম, যা সারা দেশে পণ্য বিক্রিকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি মানুষের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করেছে। বিক্রয় ডটকমই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির পাশাপাশি দেশের প্রথম অনলাইন প্রোপার্টি, ফার্নিচার ও গাড়ির মেলা আয়োজন করেছে। পাশাপাশি মোবাইল, ইলেকট্রনিকস, যানবাহন ও প্রোপার্টির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য খুঁজে পাওয়াকে করে তুলেছে সহজ, দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য।
বিক্রয় ডটকমের মূল প্রতিষ্ঠান সল্টসাইড টেকনোলজিসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) শাইফ মোহামেদ বলেন, ‘বিক্রয়ের ১৩ বছর পূর্ণ হওয়া আমাদের সবার জন্যই এক গর্বের মুহূর্ত। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষকে সহজলভ্য, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সক্ষম করে তোলা। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে আমাদের পাশে ছিলেন আমাদের বিশ্বস্ত ব্যবহারকারী ও সহযোগীরা। তাঁদের অবিচল সমর্থন ও আস্থার ফলেই আজ এই গতিশীল ক্রেতা–বিক্রেতা কমিউনিটি গড়ে উঠেছে।’
বিক্রয় ডটকমে শিগগিরই যুক্ত হতে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সুবিধা। সুবিধাগুলো চালু হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্যের বিবরণ তৈরির পাশাপাশি সহজেই বিজ্ঞাপনের ভুয়া রিভিউ শনাক্ত করা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
লটারির পুরস্কার যখন পিকাসোর চিত্রকর্ম
পাবলো পিকাসোর চিত্রকর্মের বিশ্বজোড়া কদর। দামও আকাশছোঁয়া। সে জন্যই হয়তো শিল্পপ্রেমীদের অনেকেই পিকাসোর চিত্রকর্ম নিজের সংগ্রহে রাখার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। তাঁদের জন্য বড় সুযোগ হতে পারে ফ্রান্সের একটি দাতব্য সংস্থার লটারি। ১০০ ইউরোর লটারির টিকিট কিনে মিলতে পারে পিকাসোর একটি চিত্রকর্ম।
এই লটারির টিকিট পাওয়া যাবে ‘ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকম’ নামের একটি ওয়েবসাইটে। এর উদ্দেশ্য মহৎ। মোট ১ লাখ ২০ হাজার টিকিট বিক্রির অর্থ যাবে আলঝেইমার রোগ নিয়ে গবেষণায়। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির প্যারিস কার্যালয়ে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
পিকাসোর ওই চিত্রকর্মে ‘ডোরা মার’ নামের এক নারীকে আঁকা হয়েছে। তিনি পিকাসোর একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯৪১ সালে আঁকা চিত্রকর্মটির শিরোনাম ‘তেত দ্য ফাম’। বাংলায় এর অর্থ হচ্ছে ‘নারীর মাথা’। কাগজের ওপর গোয়াশ রঙে আঁকা চিত্রকর্মটির উচ্চতা ১৫ দশমিক ৩ ইঞ্চি। চিত্রকর্মটির বর্তমান বাজারদর ১০ লাখ ইউরো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকমে এমন লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমটি ২০১৩ সালে। সেবার লেবাননের তায়ার শহর রক্ষায় ৪৮ লাখ ইউরোর তহবিল জোগাড় করা হয়েছিল। আর পরেরবার ২০২০ সালে আফ্রিকায় পানির উৎস ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার জন্য তোলা হয়েছিল ৫১ লাখ ইউরো। ওই দুবারও কিন্তু পুরস্কার ছিল পিকাসোর দুটি চিত্রকর্ম।