বিএসইসিকে প্রযুক্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা দেবে এএসআইসি
Published: 19th, June 2025 GMT
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসির) প্রযুক্তিগত উন্নয় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন (এএসআইসি)।  
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বুধবার (১৮ জুন) বিএসইসির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী, অর্থ) ড.                
      
				
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএসইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী মুখপাত্র মো. মোহাইমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক-বিএসইসির বৈঠক
সূচক ডিএসইতে কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে পুঁজিবাজারে রিয়েল-টাইম নজরদারি ব্যবস্থা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং নির্ভর ডেটা অ্যানালিটিক্স টুলস বাস্তবায়নসহ উন্নত প্রযুক্তি সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া, বাজারে সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সুপটেক (সুপারভাইজরি টেকনোলজি) ও রেগটেক (রেগুলেটরি টেকনোলজি) এর প্রয়োগ, বিশেষ করে এক্সবিআরএল ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ঝুঁকি বিশ্লেষণ এবং রিপোর্টিং ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় হয়।
বৈঠকে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এএসআইসির সহায়তায় বিএসইসির বর্তমান গভর্নেন্স কাঠামো পর্যালোচনা, বিশেষ করে অতীতে ঘটে যাওয়া ইনসাইডার ট্রেডিং, তথ্য ফাঁস ও কারসাজির মতো অনিয়ম চিহ্নিত করার বিষয়েও সহযোগিতা চান। একইসঙ্গে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো তৈরিতে সহায়তা এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণে এএসআইসির সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এএসআইসিরর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে গভীর আগ্রহ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ একটি যৌথ সহযোগিতা কাঠামো গঠনের বিষয়ে সম্মত হয় এবং শিগগিরই উভয় পক্ষ তাদের নিজ নিজ ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করবে বলেও জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের (এএসআইসি) পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জেরার্ড ফিটজপ্যাট্রিক, মার্কেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ লিডার বেন কোন-উরবাখ, অ্যালিসা ফ্রেডেরিক, বেলিন্ডা স্যান্ডোনাটো সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সিডনিতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ হাই কমিশনের (ক্যানবেরা) বাণিজ্যিক কাউন্সিলর রনি চাকমা, সাবেক ডিএসই এমডি তারিক ভূঁইয়া, চেয়ার, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ফয়েজ দেওয়ান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র সহয গ ত
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইতে ৭৫ শতাংশ শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতন
চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেনে শেষে ডিএসইতে এ দিন ৩০০টি বা ৭৫.৩৮ শতাংশের বেশি শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দরপতন হয়েছে।
এ দিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে কিছুটা বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
আরো পড়ুন:
৭ কোটি টাকা সংগ্রহে লিও আইসিটি ক্যাবলসের কিউআইও’র আবেদন
বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আইসিএসবির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকাল থেকেই ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেনের শুরু হয়। লেনদেনের শেষ হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। তবে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৪.৮৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬১ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১২.৩৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২১.৯৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৫টি কোম্পানির, কমেছে ৩০০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৩টির।
ডিএসইতে মোট ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৯.৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৭.৯৭ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ২২৫ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ২.১৬ পয়েন্ট কমে ৮৯৬ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৪.২৫ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪২টি কোম্পানির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫টির।
সিএসইতে ২৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
   
ঢাকা/এনটি/বকুল