ইরানের আরাক শহরের কাছে নির্মাণাধীন একটি পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলায় ‌‘গুরুত্বপূর্ণ ভবন’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বৃহস্পতিবার আরাক হেভি ওয়াটার রিয়্যাক্টরে বোমাবর্ষণ করে। তবে আইএইএ জানিয়েছে, ওই স্থাপনায় কোনো পারমাণবিক পদার্থ ছিল না।

হেভি ওয়াটার রিয়্যাক্টর ঠান্ডা রাখার জন্য এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক পানি ব্যবহার করা হতো। আরাক স্থাপনার মতো রিয়্যাক্টরগুলো বিজ্ঞান গবেষণার জন্য ব্যবহার করা যায়। এর অবস্থান তেহরান থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। তবে এই রিয়্যাক্টরে উপজাত হিসেবে প্লুটোনিয়াম তৈরি হয়, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলি হামলার ফলে এখন পর্যন্ত ‘গুরুতর তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর ঘটনা’ ঘটেনি। তবে ‘তেজস্ক্রিয় দুর্ঘটনার ঝুঁকি’ এখনও রয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই কঠিন ও জটিল পরিস্থিতিতে আইএইএয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্ধারিত সময়ে এবং নিয়মিতভাবে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো নিয়ে কারিগরি তথ্য পাওয়া।’



 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ