ফিফটি ছাড়িয়ে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন সাদমান। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭৬ রানে মিলান রত্নায়েকের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফিরলেন তিনি। তার বিদায়ে শান্তর সঙ্গে ভাঙল ৬৮ রানের জুটি। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী মুশফিকুর। ৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৩২। মুশফিক ৪ ও নাজমুল ৩৩ রানে অপরাজিত।
সাদমানের ফিফটি, একশ ছাড়াল বাংলাদেশের লিড: দুই উইকেট হারিয়ে সাদমান-শান্তর ব্যাটে ইতিবাচক খেলছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ফিফটি তুলে ফেললেন সাদমান। বাংলাদেশের ইনিংস শতরান ছাড়ানোর পর লিডও একশ ছাড়িয়ে গেছে। ৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১১২। সাদমান ৬৮ ও নাজমুল ২৫ রানে অপরাজিত। তৃতীয় উইকেটে সাদমান ও নাজমুল অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানের জুটি গড়েছেন।
ব্যর্থ হলেন বিজয়-মুমিনুল: গল টেস্টে নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৯৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৪৮৫ রান করেছে। প্রথম ইনিংস থেকে ১০ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ও মুমিনুল হককে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান করেছে সফরকারীরা। সাদমান ইসলাম ৪৪ রান করেছেন। তার সঙ্গী অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।
কামিন্দুর সেঞ্চুরি মিস, নাঈমের ফাইফার: চতুর্থ দিনের শুরুতে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশল মেন্ডিস আউট হন। পরে কামিন্দু মেন্ডিস সেঞ্চুরির আশা দিয়ে ৮৭ রানে আউট হন। বাংলাদেশের ডানহাতি অফ স্পিনার নাঈম হাসান ৫ উইকেট তুলে নেন। লাঞ্চের পরে লঙ্কানরা ২০ রানে ৪ উইকেট হারায় যার তিনটিই নিয়েছেন নাঈম।
নিশাঙ্কার ডাবলের স্বপ্ন ভঙ্গ: লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেঙেছেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ২৫৬ বলে ১৮৭ রান করে বোল্ড হন তিনি। ২৩ চার ও এক ছক্কায় ইনিংস সাজান। ১১৯ রানে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।
শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরি: গল টেস্টের প্রথম মুশফিক ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রান করেন। শান্ত ১৪৮ রান করে ফিরে যান। সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়তে হয় লিটন দাসকে (৯০)। প্রথম ইনিংসে লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো ৪টি এবং মিলান রত্নায়েকে ৩ উইকেট নেন। স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েনে নেন ৩ উইকেট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দম ন র ন কর উইক ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
মামদানির উত্থান থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন ইউরোপের বামপন্থীরা
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির উত্থান ইউরোপের বামপন্থী রাজনীতিকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে আগামী বছর স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউরোপের নেতারা চোখ রাখছেন মামদানির ওপর।
মামদানির নির্বাচনী প্রচার দেখতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দলীয় কৌশলবিদেরা আগেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্কে এসেছেন। তাঁদের লক্ষ্য, মামদানিকে কাছ থেকে দেখে তাঁর রাজনীতির কৌশল শেখা। কারণ, মামদানি একেবারে সাধারণ অবস্থান থেকে উঠে এসে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহরের নেতৃত্বের দৌড়ে শীর্ষে পৌঁছেছেন। ইউরোপের রাজনীতিকেরা শিখতে চান, মামদানির তৃণমূলভিত্তিক প্রচারণা নিউইয়র্কে যেমন সফল হয়েছে, সেটি তাঁদের অঞ্চলেও কার্যকর হবে কি না।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বামপন্থীদের জোট দ্য লেফট গ্রুপের ফরাসি সহসভাপতি মানোঁ ওব্রি গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে মামদানির প্রচারে অংশ নেন। ওব্রি ও তাঁর দল ফ্রান্স আনবাউড মামদানিকে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মামদানির মডেল অনুসরণ করে ফ্রান্সজুড়ে ২০২৬ সালের পৌরসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে চান।
জার্মানির পুঁজিবাদবিরোধী দল দ্য লেফট নিউইয়র্কে চার কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে। তাঁরা মামদানির প্রচারকৌশলের প্রধান মরিস ক্যাটজসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দলটির সংসদীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক লিজা ফ্লাউম বলেন, মামদানির মতো কৌশল অনুসরণ করে অতীতে তাঁদের দল ভালো করেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়টি তাঁদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল। এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচারের কৌশল নিয়েছিল তাঁদের দল। ফ্লাউম আশা করেন, বার্লিনে আগামী সেপ্টেম্বরের আইনসভা নির্বাচনে দ্য লেফট মামদানির বর্তমান প্রচারণাকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করবে।
এদিকে মেয়র নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকা মামদানি বিদেশে তাঁর প্রচারকৌশল নিয়ে মাতামাতির বিষয়টিকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে মামদানি বলেন, আপাতত তাঁর মনোযোগ পুরোপুরি স্থানীয় রাজনীতিতে।
ফ্রান্স ও জার্মানির মতোই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিকেরা মামদানির প্রচারকৌশল দেখে মুগ্ধ। মামদানির ছোট ছোট ভিডিওতে ব্যক্তিত্ব ও আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার খরচের বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আবার তাঁকে একই সঙ্গে আপনজন হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুননিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি৭ ঘণ্টা আগেফ্রান্স আনবাউডের সংসদ সদস্য দানিয়েল ওবোনো বলেন, ‘মামদানির দলীয় নির্বাচনে জয়টাই একটা বড় রাজনৈতিক ঘটনা। শুধু তিনি কী নিয়ে লড়েছেন, তা–ই নয়, বরং কীভাবে লড়েছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর যোগাযোগের কৌশল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারসহ অনেক কিছুই আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
যুক্তরাজ্যের গ্রিন পার্টির নেতা মোথিন আলি বলেন, বামপন্থীদের এখন শেখা দরকার, কীভাবে মামদানির মতো করে সংক্ষিপ্ত অথচ প্রভাবশালী বার্তা পৌঁছে দিতে হয়। যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার নেতা এবং বর্তমানে ইয়োর পার্টির নেতৃত্বে থাকা জেরেমি করবিনও এক এক্স পোস্টে মামদানির প্রচারে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুননিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন৯ ঘণ্টা আগে