সৌদি আরবের পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশন জানিয়েছে, বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

এই বিবৃতি এসেছে ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার পর। বৃহস্পতিবার ইসরায়েল খোনদাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টর লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কেন্দ্র।

আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, ওই হামলায় স্থাপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে যেহেতু স্থাপনাটি নির্মাণাধীন এবং সেখানে কোনো পারমাণবিক পদার্থ সংরক্ষিত ছিল না, তাই কোনো তেজস্ক্রীয় প্রভাব বা বিকিরণজনিত ঝুঁকি নেই।

আরো পড়ুন:

যত দ্রুত সম্ভব ট্রাম্পকে যুদ্ধে নামাতে চান নেতানিয়াহু: লেভি

ইরানজুড়ে ‘ক্রোধ ও বিজয়’ মিছিলে ইসরায়েলবিরোধী ঐক্যের বার্তা

এর আগেও ইসরায়েল ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জ এবং গভীর ভূগর্ভস্থ ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

এই ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ, এগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও পারমাণবিক নিরাপত্তা চুক্তির মূলনীতির পরিপন্থি।

১৩ জুন ভোরে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর পাল্টা হামলায় নামে ইরান। উভয় দেশ হামলা ও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। 

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে বলে অভিযোগ তুলে দেশটিতে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। অথচ আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা বলছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর কাছাকাছি পৌঁছানোর কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। অথচ এই অভিযোগে ইরানের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার আছে বলে অভিযোগে ২০০৩ সালে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অথচ তেমন কোনো অস্ত্রই ছিল ইরাকে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল ইরাক মডেলে ইরানে হামলা চালাচ্ছে, যার কোনো ভিত্তিই নেই।

ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে বহু শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক শহীদ হন।

ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২০ জুন পর্যন্ত “ট্রু প্রমিজ থ্রি” (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ১৬ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

আজ ‘ছিটেফোঁটা’ বৃষ্টির সম্ভাবনা, তবে লঘুচাপ হতে পারে আবার

প্রায় পাঁচ দিন ধরে চলার পর ভারী বৃষ্টি অনেকটাই কমেছে গত বুধবার থেকে। তবে এর পরও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তাতে গরম খুব একটা কমছে না। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শুক্রবারও দেশের কিছু কিছু স্থানে ‘ছিটেফোঁটা’ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এরই মধ্যে সাগরে আবার একটি লঘুচাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ লঘুচাপ এবার বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আপাতত।

চলতি মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, কমে আসে বৃষ্টি। তবে গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। দেশের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টি হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ, কিশোরগঞ্জের নিকলী—এসব এলাকায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়। রাজধানীতেও অনেক বৃষ্টি হয়। তবে গত বুধবার থেকে বৃষ্টি কমে আসতে থাকে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় সিলেটে ৫২ মিলিমিটার। রাজধানীতে বৃষ্টি হয় মাত্র ২ মিলিমিটার। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে গতকাল খানিকটা বৃষ্টি হলেও চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন।

আজ আবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আজ দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও তা হবে ছিটেফোঁটা। এমনটা চলতে থাকবে আরও দুই থেকে তিন দিন।

চলতি মাসে এরই মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে আগামী মঙ্গল বা বুধবার থেকে সাগরে আরেকটি লঘুচাপের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক। তিনি বলেন, এখনো খানিকটা সময় বাকি। তবে এখন পর্যন্ত গতিপ্রকৃতি যা, তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা খুলনার কাছাকাছি সাগরে এ লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরে অবশ্য এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ওডিশা উপকূলে চলে যেতে পারে।

সম্ভাব্য এই লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন নাজমুল হক। তিনি বলেন, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপের প্রভাব কতটা হবে তা কিন্তু এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ