পাকিস্তানের বিনোদনজগতে সুপরিচিত নাম আয়েশা খান। ‘আখরি রক’, ‘টিপু সুলতান: দ্য টাইগার লর্ড’এর মতো জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। শুক্রবার পাকিস্তানের করাচিতে নিজ বাসভবন থেকে আয়েশা খানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আরও অন্তত সাত দিন আগে তিনি মারা গেছেন। অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৭৭। 

স্থানীয় পুলিশ আরব নিউজকে জানিয়েছে,‘‘আয়েশা খান কয়েক বছর ধরে একা বসবাস করতেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিন অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতেন। তার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে বলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কেউ দরজা খোলেনি। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে গেলে অভিনেত্রীর পচা–গলা দেহ দেখতে পায়।’’

আয়েশা খানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ প্রথমে করাচির জিন্নাহ হাসপাতালে নিয়ে যায়।  সেখানে ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর মরদেহ সোহরাব গোথে ইধি ফাউন্ডেশনের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার মৃত্যুর পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য পুলিশ আয়েশার প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

আরো পড়ুন:

সঞ্জয়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কাঁদলেন কারিশমা, প্রশ্ন তুললেন তসলিমা

শুভ বিয়ের প্রস্তাব দিলে কী করবেন মন্দিরা, জানালেন নায়িকা

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৬৫৭৭ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই–আগস্ট) শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। আন্দোলন থেমে যাওয়ার পরও রাজস্ব আদায়ে ভালো করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ রোববার গত জুলাই–আগস্টের শুল্ক–কর আদায়ের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেখানে দেখা গেছে, গত জুলাই–আগস্টে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ সময়ে আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।

গত মে ও জুনে এনবিআরের আন্দোলনের কারণে গত অর্থবছরের বড় আকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়। শেষ দুই মাসে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব হয়নি। আন্দোলনের নানা কর্মসূচিতে রাজস্ব আদায় বিঘ্ন হয়। কিন্তু জুলাই–আগস্টেও রাজস্ব আদায়ে গতি আসেনি।

এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনের পর এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বরখাস্ত ও বদলি–আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ কম।

এনবিআরের হিসাবে, এ বছরের জুলাই–আগস্টে ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই খাত থেকে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া কাস্টমস খাতে ১৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা এবং আয়করে ১৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা আদায় হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ