ফুলেল শ্রদ্ধায় চঞ্চল মাহমুদকে বিদায়
Published: 21st, June 2025 GMT
বরেণ্য আলোকচিত্রী চঞ্চল মাহমুদকে ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) রাত ৯টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ (২১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। এ সময় চঞ্চল মাহমুদকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তার দীর্ঘ দিনের সহকর্মী, পরিবার ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষেরা।
তারা বলেন, চঞ্চল মাহমুদ ছিলেন দেশের মডেল ও ফ্যাশন ফটোগ্রাফির পথিকৃৎদের একজন। ফটোগ্রাফিকে ঘিরে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে জড়িত হওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন হাজারো শিক্ষার্থীকে।
জোহরের পর চঞ্চল মাহমুদের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর খ্যাতিমান এ মানুষটিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ। শোবিজে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করতে আসা অনেকের ফটোসেশন হয়েছে তার হাত ধরেই। অনেকেই তার হাতের তোলা ছবি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় জমা দিয়ে হয়ে গেছেন মডেল, অভিনেতা-অভিনেত্রী। এ তালিকায় আছেন- অমর নায়ক সালমান শাহ, মৌসুমী, শাবনূর, পপি থেকে শুরু করে নোবেল, সাদিয়া ইসলাম মৌ, তানিয়া আহমেদ, সুইটি, বিপাশা হায়াত, আফসানা মিমিসহ অসংখ্য অভিনেতা ও মডেল। শুধু ছবি তুলেই নয়, চঞ্চল অনেকের জন্য সুপারিশ করেছেন শোবিজের নানামুখী কাজ পাওয়ার জন্য। সেই সুপারিশে অনেকে কাজ পেয়েছেন, অনেকেরই ভাগ্য বদলেছে। পেয়েছেন খ্যাতি-অর্থ ও প্রতিষ্ঠা।
অথচ এই রঙিন জীবনের আড়ালে থাকা মানুষটি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন দীর্ঘদিন রোগে ভুগে, অনেকটা অবহেলায়। প্রায় ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি।
ঢাকা/রাহাত//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘মেরিনার কাজে প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়’
স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল বলেছেন, ‘মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।’
সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার পান মেরিনা তাবাশ্যুম। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ্যাপন করতে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নাহাস আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচারের চেয়ারপারসন জয়নব ফারুকি আলী বলেছেন, ‘স্থাপত্য মানুষের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কী অসাধারণভাবে মিশে যায়, মেরিনা তাবাশ্যুম সেটার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁর ঢাকার দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদে। ২০১৬ সালে যখন মসজিদটির উদ্বোধনে যাই, তখন মসজিদটির মোয়াজ্জিনের কাছে জানতে চাই, এ মসজিদের কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে। মোয়াজ্জিন বলেছিলেন, “আমার এখান থেকে আজান দিতে ভালো লাগে।”’
মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল।গতকাল ‘বিটুইন ইরোজন অ্যান্ড ইমার্জেন্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আর্কিকানেক্টের সহযোগিতায় সিরামিক বাংলাদেশ ম্যাগাজিন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্কিকানেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্থপতি জালাল আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম বলেন, ‘মসজিদের প্রকল্পটি ছিল ব্যক্তিগত। নানির দান করা জায়গায় ২০০৬ সালে এ মসজিদটির ডিজাইন শুরু করি। এটিকে শুধু মসজিদ হিসেবে না দেখে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে যুক্ত করে মোর দ্যান মস্ক (মসজিদের চেয়েও বেশি কিছু) হিসেবে দেখার চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠান কথা বলছেন স্থাপতি মেরিনা তাবাশ্যুম